খেলানো হয়নি সার্জিও আগুয়েরোকে। পেশিতে চোট থাকায় শেষ মুহূর্তে পেপ গার্দিওলা সিদ্ধান্ত নেন আর্জেন্টাইন তারকাকে বাদ দিয়েই নামবে ম্যানচেস্টার সিটি। শুধু তাই নয়, সিটি খেলে প্রথম দলের আরও তিনজনকে রিজার্ভ বেঞ্চে রেখে। তবু তাদের জয়ের ধারা অব্যাহত।ইতিহাদে শনিবার ম্যানসিটি ৩-১ হারায় বোর্নমাউথকে।
এই জয়ের ফলে ইপিএল টেবিলের শীর্ষেই থাকল গার্দিওলার ক্লাব। তাদের পয়েন্ট দাঁড়াল ১৪ ম্যাচে ৩৮। দু’নম্বরে থাকা লিভারপুলের সঙ্গে পয়েন্টের ফারাক ২ থেকে বেড়ে দাঁড়াল ৫। ইয়ুর্গেন ক্লপের ক্লাব অবশ্য একটি ম্যাচ কম খেলেছে। রোববার মোহামেদ সালাহরা এভার্টনের বিরুদ্ধে নামবে। যে ম্যাচের পরে পরিস্কার হবে, ম্যানসিটি কতটা সুরক্ষিত থাকবে।
ইতিহাদে শনিবারের ম্যাচে প্রথমার্ধে ফল ছিল ১-১। ১৬ মিনিটে বোর্নমাউথ গোলপিকার অ্যাসমির বেগোভিচ এদিন লেরয় সানের একটি শট হাতে ধরে রাখতে পারেননি। সহজ গোলের সুযোগ পেয়ে বের্নার্দো ১-০ করতে ভুল করেননি। ৪৪ মিনিটে হঠাৎ এসে যাওয়া সুযোগ কাজে লাগিয়ে হেডে গোল করে যান বোর্নমাউথের ক্যালাম উইলসন। ফল দেখে মনে হতে পারে প্রথমার্ধে হাড্ডাহাড্ডি খেলা হয়েছে। তা কিন্তু নয়।
দ্বিতীয়ার্ধে ছবিটা বদলে যায়। ৫৭ মিনিটে ২-১ করেন রাহিম স্টার্লিং। বোর্নমাউথের বিরুদ্ধে সাতটি ম্যাচ খেলে দশটি গোল হয়ে গেছে ইংল্যান্ডের এই স্ট্রাইকারের। এক্ষেত্রেও অ্যাসমির একটি উঁচু বল হাত থেকে ফেলে দেন। যা থেকে ২-১ করেন স্টার্লিং। আর ৭৯ মিনিটে ৩-১ করেন গুন্ডোয়ান।
অন্যদিকে, সাউদাম্পটনের বিরুদ্ধেও জিততে পারেনি না হোসে মরিনহোর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। লিগ তালিকায় ১৮ নম্বরে থাকা দলের বিরুদ্ধে ২-২ ড্র করল তারা। চারটি গোলই আসে প্রথমার্ধে। ১৩ মিনিটে স্টুয়ার্ট আর্মস্ট্রংয়ের গোলে এগিয়ে যায় সাউদাম্পটন। ২০ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান সেদ্রিক সোয়ারেস। ৩৩ মিনিটে ম্যানইউয়ের হয়ে প্রথম গোল শোধ করেন দলের বেলজিয়ান স্ট্রাইকার রোমেলু লুকাকু। তার ছয় মিনিট পরেই আন্দ্রে হিয়েরার দুর্দান্ত গোল মান বাঁচায় মরিনহোর দলের। ১৪ ম্যাচ শেষে ম্যান ইউয়ের পয়েন্ট এখন ২২। উঠে এল সাত নম্বরে।
দিনের অন্য ম্যাচে ক্রিস্টাল প্যালেস ২-০ গোলে বার্নলি, লেস্টার একই ব্যবধানে ওয়ার্টফোর্ড, ওয়েস্টহ্যাম ইউনাইটেড ৩-০ গোলে নিউক্যাসল ইউনাইটেড ও ব্রিংটন এন্ড হোভ অ্যালবিয়ন ২-১ গোলে হার্ডার্সফিল্ডকে হারায়।
রোববার ইপিএলে চেলসি বনাম ফুলহ্যাম, আর্সেনাল বনাম টটেনহ্যাম, লিভারপুল বনাম এভার্টন ম্যাচ আছে।