কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টিকে (বিজেপি) হটানোর অঙ্গীকার করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৯ এর সাধারণ নির্বাচনে ‘বড় আঘাত’ পাবে। বিজেপি সংসদে ১০০’র ও কম আসন পাবে বলে ভবিষ্যৎ বাণী করেন মমতা।
কলকাতার কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এক বার্ষিক র্যালিতে শনিবার বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে সরাতে “বাংলা পথ দেখাবে” বলে মন্তব্য করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা।
১৯৯৩ সালে ভিক্টোরিয়া হাউজের বাইরে গুলি করে কংগ্রেসের ১৩ যুবকর্মীকে হত্যার ঘটনার স্মরণে এই সমাবেশ হয়।
আগামী লোকসভা ভোটে এ রাজ্যে ৪২টি আসনের মধ্যে ৪২টিই দখলের অঙ্গীকার করেন মমতা। বলেন, মধ্য প্রদেশ এবং রাজস্থানেও বিজেপির ভরাডুবি হবে।
প্রধানমন্ত্রী মোদির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব প্রত্যাখানের উল্লেখ করেও মোদিকে আক্রমণ করেন মমতা। অনুমিতভাবেই বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব পরাজিত হয়। অনাস্থার পক্ষে মাত্র ১২৬ ভোট পড়ে। বিপক্ষে অর্থাৎ মোদি সরকারে পক্ষে পড়ে ৩২৫ ভোট।
এই প্রেক্ষিতে মোদির সাফল্য ও ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার কথা বিজেপি বললেও মমতা বলেন, এই সংখ্যাটা পার্লামেন্টের ভেতরে। বাইরে, গণতন্ত্রে, তারা জিতবে না।
অনাস্থা প্রস্তাব বাতিল হওয়ার পর কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করে মোদি বলেন, ক্ষমতায় আসতে এত তাড়া কিসের? কংগ্রেসের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘প্রার্থনা করি, যাতে আপনাদের শক্তি বাড়ে। ২০২৪ সালে ফের অনাস্থা আনতে পারেন।’
এর জবাবও দিয়েছেন মমতা। বলেছেন, “তারা ২০২৪-এর কথা বলে। তাদেরতো প্রথমে ২০১৯ পেরোতে হবে।”
“যারা একটা প্যান্ডেল বানাতে পারে না, তারা দেশ গড়তে চায়?” বিজেপির প্রতি কটাক্ষ করে বলেন মমতা। চলতি সপ্তাহে মেদিনিপুরে একটি জনসভায় মোদির জন্য বানানো অস্থায়ী প্যান্ডেল ধসে পড়ে, যাতে প্রায় ৯০ জন আহত হয়। সেই ঘটনা মনে করিয়ে দিয়েই কটাক্ষ করেন মমতা।
“বিজেপি হটাও, দেশ বাঁচাও” নামে ১৫ আগস্ট একটি প্রচারণা চালাবে তৃণমূল কংগ্রেস। এছাড়াও ১৯ জানুয়ারি একটি মেগা র্যালির আয়োজনের কথা জানিয়েছে তারা। যাতে ভারতের সকল নেতারা উপস্থিত থাকবে বলে জানান মমতা। বলেন, তারা দেখবে বাংলা প্রস্তুত।