দলের ‘আগাছা’ নির্মূলে তৃণমূল থেকে সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু করবে আওয়ামী লীগ। দলের নেতারা স্বীকার করেছেন, ক্ষমতাসীন দলে ‘উড়ে এসে জুড়ে বসাদের’ দৌরাত্ম রয়েছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশের পর খুব শিগগিরই সুবিধাভোগীদের ব্যাপারে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত আসবে বলেও তারা জানিয়েছেন।
পর পর দু’দফা ক্ষমতায় দলের নেতাকর্মীর সংখ্যা যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে অন্য দল থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়া নেতাকর্মীর সংখ্যাও।
প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ভাষণে দলের আগাছা উপড়ে ফেলে ভালোরা যেন নিজেদের গড়ে তুলতে পারে এমন বাস্তবতা অস্বীকার করছেন না আওয়ামী লীগ নেতারা।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর দেখা গিয়েছিলো একটা গ্রুপ মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে মিশে নানা অপকর্ম করতে ছিল। তাদের নাম দেওয়া হয়েছিল সিস্টেম ডিভিশন। ঠিক এখানেও এই রকমের ঘটনা ঘটেছে।
দলের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য নূহ উল আলম লেনিন বলেন, ক্ষমতায় চলে গেলে মৌসুমি পাখিদের অভাব হয় না। তখন উড়ে এসে জুড়ে বসা প্রচুর লোক পাওয়া যায়। যারা প্রকৃত ত্যাগী কর্মীর চাইতেও বড় হয়ে যায়। পোপের চাইতে পোপ যেমন বড় তেমন আওয়ামী লীগের চাইতেও বড় আওয়ামী লীগ হয়ে যায়।
এসব বিষয় মাথায় রেখে পথ চলা আওয়ামী লীগ বলছে, তাদের আগাছা নির্মূলের প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে, সামনে হবে আরো জোরে-সোরে।
শেখ ফজলুল করিম সেলিম আরো বলেন, আমাদের কঠোর ভাবে বলে দেওয়া হয়েছে যারা আওয়ামী লীগ করে না তারা যেন আওয়ামী লীগে ঢুকতে না পারে। আওয়ামী লীগে যথেষ্ট নেতা কর্মী রয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ে থানা, জেলা উপজেলা মহানগর বিভিন্ন লেভেল থেকে কেউ যেন নতুন করে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে না আসে।
নূহ উল আলম লেনিন বলেন, আগাছা বড় হয়ে গেলে আওয়ামী লীগ সব সময়ই এ আগাছা দুর করার পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এই প্রক্রিয়াগুলি আমাদের চলমান রয়েছে। এবং আমি মনে করি, যেহেতু নেত্রী এটা বলেছেন তার মানে উনি এটা মিন করেছেন। নিশ্চিতভাবেই বলতে পারি, সাংগঠনিকভাবে আমরা এটা দেখতে পাবো।
শনিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনার ইঙ্গিত দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।