চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

আখের পরিবর্তে তুলা চাষ করুন: অর্থমন্ত্রী

আখ চাষকে ব্যয়বহুল মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, আখের জমিতে আখ চাষ বন্ধ করে তুলা চাষ করা উচিত। এতে দেশের তুলার চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে।

শুক্রবার রাজধানীর হোটেল রেডিসনে ‘গ্লোবাল কটন সামিট ২০১৮’এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

যৌথভাবে দুই দিনের এ সামিট আয়োজন করেছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) ও বাংলাদেশ কটন অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএ)।

মুহিত বলেন, আখ চাষ খুবই ব্যয়বহুল। সুতরাং এ শিল্পটি মারা যাবে। দীর্ঘদিন ধরেই আখ শিল্প অলাভজনক। আমাদের উচিত হবে আখ চাষ থেকে বেরিয়ে আসা। আমি মনে করি আখ চাষ বন্ধ করে ওই জমিতে তুলা চাষ করা যেতে পারে। এতে আমরা বৃহৎ পরিমাণে তুলা উপাদন করতে পারবো।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে তুলা উৎপাদনের জন্য যথেষ্ট জমি নেই, সে জন্য দেশীয়ভাবে কটনের চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়। চিনি ও তামাকজাত পণ্য উৎপাদন বন্ধ করে এসব জমিতে তুলা চাষ করা উচিৎ। কেননা দেশীয়ভাবে চিনি উৎপাদন লাভজনক নয়, এছাড়া তামাকও কোনো ভালো ফসল নয়।

‘বস্ত্র খাতে আমাদের ৫ হাজারের মতো কারখানা আছে। এই খাত আমাদের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তবে এ খাতের সুতার যে চাহিদা রয়েছে তার মাত্র ৩ শতাংশ আমরা দেশের ভেতরে উৎপাদন করতে পারছি। বাকি ৯৭ শতাংশ আমাদের আমদানি করতে হয়। আমরা এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছি’, বলেন অর্থমন্ত্রী।

একই অনুষ্ঠানে বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আযম জানান, বস্ত্রশিল্পের উন্নয়নে প্রতিটি জেলায় টেক্সটাইল ইনিস্টিটিউট স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

তিনি বলেন, দেশে বস্ত্রশিল্প গড়ে উঠলেও এর কোনো নির্দিষ্ট আইন নেই। বর্তমান সরকার এ বিষয়টি অনেক আগে থেকে চিন্তা করে আসছিল। এরই ফলশ্রুতিতে মন্ত্রিপরিষদে বস্ত্র আইন নীতিগত অনুমোদন পেয়েছে। আশা করি আগামী সংসদ অধিবেশনে আইনটি পেশ করা হবে।

দেশে তুলার সঙ্কট রয়েছে উল্লেখ করে মির্জা আযম বলেন, তুলা চাষের প্রয়োজনীয় জমি আমাদের নেই। পাট থেকে ভিসকস উৎপাদনের পদক্ষেপ নেয় হয়েছে। পাট থেকে ভিসকস উৎপাদনের জন্য আন্তর্জাতিক মানের ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি দরকার। সেই ফিজিবিলিটি স্ট্যাডির জন্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আগামী এপ্রিলের মধ্যে ফিজিবিলিটি প্রতিবেদন পাওয়া গেলে জুনের মধ্যে ভিসকস ফ্যাক্টরি নির্মাণ করা হবে। প্রায় ৭১ একর জমির ওপর যে ফ্যাক্টরি তৈরি হচ্ছে, সেখান থেকে প্রতিবছর প্রায় ৩৫ হাজার টন ভিসকস উৎপাদন করা সম্ভব হবে।

অনুষ্ঠানে আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সামিটে বাংলাদেশ, ভারত, সুদান, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, সুইজারল্যান্ড, মালি, বুরকিনা ফাসো, চাদ, তুরস্ক, ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, বিটিএমএর সভাপতি তপন চৌধুরী, আন্তর্জাতিক কটন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মির্জা সালমান ইস্পাহানী, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ কটন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী আলী এবং সামিট আয়োজক কমিটির সভাপতি মো. আইয়ুব প্রমুখ।