প্রতিবছরের মতো এবারো বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হলো ঘুড়ি উৎসব। মহাঘুড়ি উড়ানোর মধ্যদিয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল।
২০১৬ সালকে পর্যটন বছর ঘোষণা করায় ঘুড়ি ফেডারেশনের এ আয়োজনে এবার যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন।
আকাশ ছুঁতে কার না মন চায়। দিগন্ত ছাড়িয়ে যাওয়া আকাশে উড়ার সাধ জাগে সব বয়সের মানুষের। তাই ঘুড়ি উড়িয়ে আকাশ ছোঁয়ার নেশায় বিভোর এই ঘুড়িওয়ালারা। ঘুড়ির সঙ্গে নিজের মনকেও আকাশে উড়িয়েছেন তারা।
‘চমৎকার উদ্যোগ, খুব ভালো লাগছে’ ঘুড়ি ওড়াতে ওড়াতে বললেন এক অংশগ্রহণকারী।
এ আয়োজনে অংশ নেয় বিভিন্ন বয়সের অসংখ্য মানুষ। নানা রঙের ও আকারের ঘুড়ি উড়িয়েছেন তারা। সন্ধ্যায় আকাশে উড়ানো হয় হাজার হাজার ফানুস।
বাংলাদেশ ঘুড়ি ফেডারেশনের ভিন্নতর আয়োজন দেখে মুগ্ধ কক্সবাজারে বেড়াতে আশা দেশি বিদেশী পর্যটকরা।
দেশী ও বিদেশী পর্যটকরা জানান, এবারের আয়োজন আসলেই বেশ পরিপূর্ণ ও উপভোগ্য হয়েছে।
যান্ত্রিক জীবনে আবদ্ধ মানুষদের প্রকৃতির সঙ্গে কিছুটা রোমাঞ্চকর সময় উপহার দিতে এ আয়োজন বলে জানালেন উদ্যোক্তারা ।
বাংলাদেশ ঘুড়ি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মৃধা বেনু জানান, ‘এরকম উপলক্ষ্য ঐতিহ্যকে মনে করিয়ে দেয়, তাই এরকম আয়োজন নিয়মিত হওয়া দরকার।’
নতুন প্রজন্মকে উৎসাহ যোগাতে ঘুড়ি উৎসবে যোগ দেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী বলেন,‘পুরোনো ঐতিহ্য আবার ফিরে আসবে। একটা সময়ে ঢাকার আকাশ ঘুড়িতে ভরে থাকতো’।
ঘুড়ির পাশাপাশি উড়ানো হয় গ্যাস বেলুন, হট এয়ার বেলুন, প্যারাসেইল, রোগালো প্যারাস্যুট, এয়ারশিপ।