অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, আকস্মিক বন্যার কারণে সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে। সরকার অতি সহজেই এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্ষম। তবে চালের দাম বেড়ে গেছে। এ জন্য সামনে অনেক চাল আমদানি করা হবে।
“আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেশি হওয়ায় এতে অতিরিক্ত খরচও হচ্ছে। তবে দেশের মানুষ যেন অসুবিধায় না পড়ে, সেজন্য সরকার উচ্চ ব্যয়েই চাল আমদানি করবে।”
বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে প্রাণ ডেইরির এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
উত্তরাঞ্চলসহ সামগ্রিক বন্যা পরিস্থিতির কারণে সাময়িক বিপত্তি দেখা দিয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। এসময় কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল ভিত্তি উল্লেখ করে সরকারের এই জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী বলেন, আইটিসহ অর্থনীতির অন্যান্য খাতের ব্যাপক সম্প্রসারণ হয়েছে। অর্থনীতির কাঠোমগত পরিবর্তনও এসেছে। তবে কৃষি এখনও আমাদের অর্থনীতির মূল ভিত্তি।
এসময় দেশের শিল্পগোষ্ঠীকে উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘একটি দেশে কয়েকবছর যাবৎ অব্যাহত প্রবৃদ্ধি থাকলে, ওই দেশের অর্থনীতি খারাপ অবস্থায় যাওয়ার আর আশংকা থাকে না। বিগত আট বছর ধরে আমরা ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি করেছি। আগামী আরো দুই বছর ক্ষমতায় আছে সরকার, আশা করি প্রবৃদ্ধির এই ধারা অব্যাহত থাকবে।’
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবীর বলেন, দুগ্ধ খামারিদের ঋণ প্রদানের মত কর্মসূচি উদ্যোক্তা বিকাশ এবং কর্মসংস্থান তৈরি করবে। তিনি সোনালী ব্যাংকের মতো অন্যান্য ব্যাংকেও কৃষিখাতে ঋণ প্রদানের আহবান জানান।
সোনালী ব্যাংক ও প্রাণ ডেইরির মধ্যে চুক্তির আওতায় দুগ্ধখামারিরা সোনালী ব্যাংক থেকে ৯ শতাংশ সুদে ঋণ পাবেন। খামারিদের জন্য জামানতবিহীন ঋণসীমা ৫০ হাজার থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত এবং জামানতযুক্ত তিন লাখ থেকে দশ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেয়া হবে। ঋণ পরিশোধের সময়সীমা থাকবে তিন থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত।অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রাথমিকভাবে দুগ্ধ খামারিদের দশ কোটি টাকার ঋণ প্রদান করা হবে। তবে ভবিষ্যতে ঋণের পরিমাণ আরো বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
এছাড়া অনুষ্ঠানে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. ইউনুসুর রহমান, সোনালী ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আশরাফুল মকবুল, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সিইও আহসান খান চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।