বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন: আওয়ামী লীগ ভেবেছে নির্বাচন কমিশন আইন করে বেঁচে যাবেন। কিন্তু বাকশাল করেও তারা বাঁচতে পারেনি।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত “বাকশাল: গণতন্ত্র হত্যার কালো দিবস” শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন: এই আইন প্রণয়ন করেও তারা বাঁচতে পারবে না। এ আইন প্রণয়ন করার অধিকার এই সরকারের নেই, সাধারণ মানুষের কাছে এই আইন গ্রহণযোগ্য হবে না। কারণ এই সংসদ জনগণের দ্বারা নির্বাচিত কোন সংসদ নয়। সুতরাং এই আইন শুধু আমাদের কাছে নয় দেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। যে আইন দেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য নয় সেটা কেউ মানবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বাকশাল গঠন করেছিলো যখন বঙ্গবন্ধু সম্পূর্ণভাবে দেশ পরিচালনায় ব্যর্থ হয়েছিলো। তারা দেশ স্বাধীনের পর একটা লুটপাটের রাষ্ট্র কায়েম করতে চেয়েছিলো, তা তারা করেছিলেন। আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কাজ করবে, এমন কোন রাজনৈতিক চরিত্রই তাদের ছিলো না। যার কারণে সিরাজুল হক সাহেব- আসম আব্দুর রব সাহেবের মতো লোকেরা আওয়ামী লীগ থেকে বের হয়ে এসে সেদিন প্রতিরোধ সৃষ্টি করেছিলেন।’
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘যেখানে আওয়ামী লীগ, সেখানেই বাকশাল, গনতন্ত্রহীনতা, লুটপাট, ব্যাংক ডাকাতি, খুন, গুম, ধর্ষণ আর ভোট ডাকাতি।’
বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘বাংলাদেশের চেয়ে যদি আমেরিকায় বেশি গুম খুন হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছেন না কেন?’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র আহবায়ক আমান উল্লাহ আমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র আহবায়ক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) এ কে এম ফজলুল হক মিলন, বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলমসহ কয়েকজন নেতা।