সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শনিবার বিএনপির সমাবেশ নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাদের বক্তব্য সংঘাত সৃষ্টির ইঙ্গিত বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি। এমন বক্তব্য থেকে সরে আসতে ক্ষমতাসীনদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দলটি।
বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মুখপাত্র রুহুল কবির রিজভী এমন আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘শনিবারের সমাবেশের জন্য আমরা সকল প্রস্তুতি নিচ্ছি। গতকাল মহাসচিবের নেতৃত্বে যৌথ সভায় এ বিষয়ে সকল প্রস্তুতির বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা ঠিক করা হয়েছে।
আমরা পুলিশকে চিঠি দিয়েছি। পুলিশ গণপূর্তে পাঠিয়েছে। তারা নেতিবাচক কিছু বলেনি। তবে এখনো আমরা লিখিত অনুমতি পাইনি। আমরা আশাবাদী অনুমতি পাবো এবং বেশ ভালোভাবে আমরা শনিবার সমাবেশ করবো।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করতে চাই। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতাদের বক্তব্য সংঘাত সৃষ্টির ইঙ্গিত৷ তাদের বক্তব্য গুণ্ডাসুলভ। তারা সংঘাতকে উস্কে দিচ্ছে। আমরা তাদেরকে এসব বক্তব্য থেকে সরে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।’
একই দিনে মহানগর নাট্য মঞ্চে ১৪ দলের সমাবেশ জানার পর বিএনপি ২৭ তারিখের সমাবেশ ২৯ তারিখে নিয়ে গেছে- এমন অভিযোগের বিষয়েও কথা বলেন রিজভী।
তার দাবি, ‘১৪ দল ২৯ তারিখ নাগরিক সভা করবে, তা আমরা জানতাম না। তাছাড়া আমাদের মহাসচিব বলেছেন, পুলিশের সাথে আলাপ করেই ২৯ তারিখ সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশ ডাকা হয়েছে। আমরা শান্তিপূর্ণ সফল সমাবেশ করতে চাই। কোনো রকম বিশৃঙ্খলাপূর্ণ কিছু হবে না। কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্য সংঘাতকে উস্কে দিচ্ছে। এটি ঠিক হচ্ছে না। আমরা আশা করি তারা এ ধরনের বক্তব্য থেকে সরে আসবে।’
এ সময় রিজভী আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নিইউয়র্কে সব দলের অংশগ্রহণে বাংলাদেশে নির্বাচন করবেন বলেছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে। কিন্তু তিনি সত্য বলেননি। দেশে তার কোনো চিহ্ন দেখা যাচ্ছে না। তিনি একদলীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কিন্তু তা করতে পারবেন না। জনগণ তা হতে দেবে না।’
সে সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডাক্তার এ জেড এম জাহিদ হোসাইন, আহমেদ আজম খান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি৷ সহ দপ্তর সম্পাদক মুনির হোসেন প্রমুখ।