চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

আওয়ামী লীগ ছাড়া কোন সরকার স্বাধীনতায় বিশ্বাসী ছিল না: প্রধানমন্ত্রী

’৭৫ পরবর্তী সময় থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ বাদে আর কোন সরকার স্বাধীনতায় বিশ্বাসী ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেন: বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী না হওয়ায় তারা দেশের উন্নয়নের কথা ভাবেনি। রাষ্ট্রক্ষমতায় থেকে তারা তারা নিজেদের আখের গুছিয়েছে, আর পাকিস্তানীদের নীল নকশা বাস্তবায়ন করেছে।

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মহাসমাবেশে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এসময় দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন: জাতির পিতার ভাষণ কোন লিখিত ভাষণ ছিল না। বৃটিশ একজন সাংবাদিক ২৫০ বছরের সকল শাসক ও নেতার বিভিন্ন সময়ের বক্তৃতা নিয়ে গবেষণা করেছেন। সেখানেও শর্টলিস্টে জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণ স্থান করে নিয়েছিল। এরপর গতবছর ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐহিত্যের অংশ ‘মেমোরি অব দ্য ওয়াল্ড’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

‘কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এমন সময় ছিল যখন এই ভাষণ প্রচার করতে দেওয়া হয়নি। তারা জাতির পিতার এই ভাষণ এবং তার আদর্শকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদের সেই অপচেষ্টা সফল হয়নি’, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন: যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানিয়ে রক্তে রঞ্জিত জাতীয় পতাকা তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। যুদ্ধাপরাধী হয়ে গেলো মন্ত্রী। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এর চেয়ে লজ্জার আর কী হতে পারে। ক্ষমতা পেয়ে তারা স্বাধীনতার পক্ষের দল আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। বিএনপির সময় সারাদেশ সন্ত্রাসীদের অভয়অরণ্য পরিণত হয়েছিল।

২০১৪ সালে নির্বাচন বর্জনের নামে বিএনপির আগুন সন্ত্রাসের সমালোচনা করে তিনি বলেন: তারা অগ্নি সন্ত্রাসের মাধ্যমে ৫ শতাধিক লোককে হত্যা করলো। সাড়ে তিন হাজার মানুষকে আগ্নি সন্ত্রাসে আহত হলো। এটা বিএনপি নেত্রীর আদেশে হয়েছে। বাসে আগুন দিয়ে পোড়ানো তাদের জন্য কোন বিষয় না, এটা যেন এটা খেলা তাদের জন্য। আমরা মানুষের জন্য রাজনীতি করি। আর তারা মানুষ পুড়িয়ে মারে।

বেলা ৩টায় সমাবেশস্থলে এসে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। সমাবেশের জন্য নির্ধারিত সময় বেলা ২টার আগেই লাখো নেতা-কর্মীর আগমনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পূর্ণ হয়ে যায়।

সকাল থেকেই সমাবেশস্থল লক্ষ্য করে হেঁটে, বাসে, ট্রাকে, খণ্ড খণ্ড মিছিল করে আসতে শুরু করে নেতাকর্মীরা। দিনটি ঘিরে সকাল থেকেই ছিল আওয়ামী লীগের নানা কর্মসূচি। যার স্রোত গিয়ে মেশে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।

এসব মিছিলে ছিল সভা উপলক্ষে তৈরি নানা প্রতিকৃতি ও পোস্টার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিবাহী পোস্টার ও প্রতিকৃতি ছিল অনেকের হাতে।

সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।