আগামীকাল শনিবার সকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে আওয়ামী লীগে যোগ দিচ্ছেন টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতা জামিলুর রহমান মিরন।
মিরনের দলবদলের খবর জানাজানি হওয়ার পর নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তবে রাজনৈতিক মহল এতে দেখছেন টাঙ্গাইলের উত্থান-পতনের রাজনীতির নতুন মেরুকরণ হিসেবে।
টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান ফারুক বলেন, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ড. আব্দুর রাজ্জাকের মাধ্যমে কেন্দ্র থেকে নির্দেশ এসেছে তাকে দলে যোগদান করানোর জন্য। এ ব্যাপারে শুক্রবার জেলা নেতৃবৃন্দের একটি বৈঠক হবে। সেই বৈঠকে আলোচনা ফলপ্রসূ হলে শনিবার মিরনকে দলে যোগদান করানো হতে পারে।
আওয়ামী লীগে যোগদানের বিষয়ে জামিলুর রহমান মিরন বলেন, বিষয়টি আমি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান ফারুক সাহেবের কাছ থেকে জেনেছি। এখনো দিনক্ষণ ঠিক হয়নি। আলোচনার পর যোগদানের বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগে তার অবস্থান বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধা পরিবার। তাই জম্ম সূত্রেই আমি আওয়ামী লীগ। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক থাকায় তার সংগ্রাম পরিষদে যোগ দেই। বিগত সাড়ে ৪ বছর ধরে তার দলের সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। সেখানে আমার কোনো সদস্য পদও নেই।
জানা যায়, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর হাত ধরেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে আসেন মিরন। হয়ে ওঠেন জেলা ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতা। পরে আওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কৃত হয়ে কাদের সিদ্দিকী কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ নামে নতুন দল গঠন করলে মিরন তাতে যোগ দেয়। এরপর দু’দফায় টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন মিরন। এসময় তার বিরুদ্ধে টাঙ্গাইলের বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে মদদ দেয়ারও অভিযোগ উঠে। পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের পক্ষে ও আওয়ামী লীগের বিরদ্ধে অবস্থান নেন। পরে টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে খাঁন পরিবারের উথান ও সিদ্দিকী পরিবার কোনঠাসা অবস্থায় পড়লে তিনিও নিজেকে গুটিয়ে ফেলেন। এখন আবার খান পরিবার আলোচিত মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলার থাকায় মিরন খান পরিবারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। এতে টাঙ্গাইলের রাজনীতির হাল ধরা খান পরিবার বিরোধীরা আওয়ামী লীগ নেতাদের নজরে আসেন।