চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল আলম চৌধুরী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
রোববার ভোর সোয়া ৫টার দিকে নগরের পার্কভিউ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। সাবেক এই নেতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দীর্ঘদিন ধরে কিডনিসহ বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছিলেন নুরুল আলম। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের প্রথম সভাপতি, সাবেক রাষ্ট্রদূত, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলম চৌধুরী মৃত্যুকালে স্ত্রী, দুই মেয়ে, এক পুত্র, অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, রাজনৈতিক অনুসারী রেখে গেছেন।
প্রবীণ এই আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যুর খবরে চট্টগ্রাম মহানগরীর রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে আসে।
তিনি ১৯৭৩ এবং ১৯৮৬ সালে জাতীয় সংসদে ফটিকছড়ি আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১০ সালে ওমানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বও পালন করেন এ নেতা।
১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করে জেলে যেতে হয় নুরুল আলমকে। জেলখানায় তাকে অমানসিক নির্যাতনে শিকার হতে হয়।
চট্টগ্রাম উত্তর, দক্ষিণ ও জেলা আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে নুরুল আলমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়েছে।