২০২১ সাল নাগাদ আউটসোর্সিং খাত থেকে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের প্রত্যাশা করছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। বিপিও সামিটের উদ্বোধন করে তিনি বলেছেন, আউটসোসিং এর মাধ্যমে আগামী দিনের তরুণরা নিজেরাই নিজেদের ভাগ্য গড়বে।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর আউটসোসিং যখন বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করে; তখন এ খাতের আয় ছিলো ২৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। গেলো ছ’বছরে এ খাত থেকে উপার্জন গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩শ’ মিলিয়নে। পাশাপাশি এ খাতে সম্পৃক্ত জনবলের সংখ্যা এখন ৩শ’ জন থেকে ২৫ হাজার।
দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীকে এদেশের আউটসোসিং সেক্টর সম্পর্কে ধারণা দেওয়া এবং এর সাফল্যের গল্পগুলো তুলে ধরতে শুরু হলো দু’দিন ব্যাপী বিজনেস প্রোসেস আউটসোসিং সামিট ২০১৫। সামিটের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ভিশনকে ছ’বছর আগে কেউ সম্ভব মনে করেনি। বিপিও আউটসোর্সিং সামিটে আমাদের আজকের লক্ষ্যমাত্রা আউটসোর্সিংয়ে আয় এক বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। আবার কর্মসংস্থান ২ লাখ পার হয়ে যাবে।’
জয় আশা করেন, আইটি সেক্টর একদিন বাংলাদেশের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় খাত গার্মেন্টসের রপ্তানীকে ছাড়িয়ে যাবে। ‘এই আইটি শিল্প, বিপিও আউটসোর্সিং শিল্পে সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে ১৮ থেকে ৩৫ বছরের তরুণদের। তাদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে চাই আমরা,’ বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, সরকার চায় তরুণ প্রজন্ম উদ্যোক্তা হোক; নিজেদের উদ্যোগে নিজেদের আউটসোর্সিং, ফ্রিল্যান্সিং এবং আইটি কোম্পানি করুক, যেখানে তারা নিজেদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার পাশাপাশি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।
প্রত্যেক বছর ৫০ হাজার তরুণকে আইসিটি সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে জানিয়ে সজীব ওয়াজেদ ঘোষণা দেন সারা দেশে ৫৫৪টি বিপিও সেন্টার স্থাপন করা হবে।