বল চকচকে করার জন্য আর নয় মুখের লালা কিংবা শরীরের ঘাম; এভাবে বল ঘষামাজায় যেকোনো সময় শরীরে ক্ষতিকর জীবাণু বা ভাইরাসের অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে। বিধায় আইন পরিবর্তন করতে চাচ্ছে আইসিসি। বল টেম্পারিংয়ের ঝুঁকি আছে জেনেও বোলারদের বাহ্যিক বস্তু ব্যবহার করতে দেবে ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাটি।
মূলত টেস্ট ক্রিকেট বল ঘষামাজার কাজটি সবচেয়ে বেশি হয়। বল পুরনো হয়ে গেলে তা থেকে রিভার্স সুইং আদায়ে বলের একটা পাশকে ঘষে ঘষে উজ্জ্বল করার চেষ্টা করেন পেসাররা। এখন যদি লালা ছাড়া কোনো বাহ্যিক বস্তুকে ব্যবহার করতে দেয়া হয় বল ঘষার কাজে, তা সুবিধার নাকি বল টেম্পারিংকে সহায়তা করবে সেটির পক্ষে-বিপক্ষে মত দিয়েছেন ভারতের সাবেক বোলাররা।
সুইং বোলিংয়ের জন্য খ্যাতি ছিল ভারতীয় পেসার মনোজ প্রভাকরের। ক্রিকেটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়াতে বাইরের বস্তু ঘষে বলের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর পক্ষে তিনি।
‘যদি বল উজ্জ্বলই করা না যায় তাহলে আমার মতো বোলাররা খেলবে কীভাবে? যদি মুখের লালা কিংবা ঘাম ব্যবহার করা না যায় তাহলে অন্য বস্তু ব্যবহার করতেই হবে। বল ঘষতে না পারলে বোলাররা অসহায় হয়ে পড়বে। আইসিসির উচিত এক বা একাধিক বাহ্যিক বস্তু বোলারদের অনুকূলে রাখা। নয়ত মিডিয়াম পেসারদের কোনো ভবিষ্যৎ থাকবে না।’ টাইমস অব ইন্ডিয়াকে এমন বলেছেন প্রভাকর।
কী ধরনের বস্তু ব্যবহার করা যায় তার খানিকটা উদাহরণও দিয়েছেন প্রভাকর। চটচটে নয় এমন বস্তু ব্যবহারের পক্ষে তিনি। সঙ্গে ভেসলিন কিংবা মিন্ট চুইংগামের লালা একেবারেই ব্যবহারে নিষেধ করেছেন।
আইসিসির নিয়মের বিপক্ষে আবার মত দিয়েছেন ভারতের প্রখ্যাত কোচ টিএ শেখর। তার মতে বোলারদের লালা বা ঘাম ব্যবহারে বিরত করা যাবে না, ‘মুখের লালা বা ঘাম ব্যবহার করা হচ্ছে, এ জিনিস সবসময় আপনি দেখে দেখে রাখতে পারবেন না।’
‘এটি অভ্যাসের বিষয়, ক্রিকেটাররা এটা করবেই। কী হবে যদি বোলাররা ভুলে লালা ব্যবহার করে? আপনি কি প্রতিবার নতুন বল ব্যবহার করবেন?’
বাহ্যিক বস্তুতে বাড়তে পারে বল টেম্পারিং। ২০১৮ সালে শিরিষ কাগজ দিয়ে বল ঘষে একবছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার তিন ক্রিকেটার স্টিভেন স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার ও ক্যামেরন বেনক্রফট। তবে বলের উজ্জ্বলতায় বাইরের জিনিস ব্যবহার করতে দিলে পেসারদের সুইং বাড়বে বলে আশাবাদী প্রভাকর।