‘তিন মোড়ল’ নীতি থেকে বের হয়ে ক্রিকেট বিশ্বকে নতুন আঙ্গিকে সাজাতে চেয়েছিলেন আইসিসির সদ্য সাবেক হওয়া সভাপতি শশাঙ্ক মনোহর। তার নতুন প্রস্তাবিত নীতিতে একটি ন্যায্য আর্থিক বণ্টন নীতির সিদ্ধান্ত আসার কথা ছিল। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড সেই নীতির বিপক্ষে নিজেদের আপত্তির কথা বেশ স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছে। সোজা কথায় বিসিসিআই মনে করছে, নতুন নীতি অস্পষ্ট এবং অগ্রহণযোগ্য।
আইসিসির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ইয়ান হিগিন্সের উদ্দেশ্য পাঠানো বিসিসিআইয়ের প্রধান নির্বাহী রাহুল জোহরির একটি ই-মেইল ক্রিকইনফোর হাতে এসেছে। সেখানে নতুন নীতি বাস্তবায়নে বিসিসিআইয়ের ঘোর আপত্তির বিষয়টি উঠে এসেছে। জোহরি লিখেছেন, ‘এই ধরনের মৌলিক পরিবর্তন আইসিসির গুনগত চালচলনে এবং এর স্বায়ত্তশাসিত সদস্যদের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলবে।’ বিসিসিআইয়ের ভাষায় এই আর্থিক নীতি হবে অবৈজ্ঞানিক।
তবে নতুন আর্থিক নীতি বাস্তবায়ন হলে আখেরে লাভ হবে বাংলাদেশসহ অন্যান্য ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলোর। বাংলাদেশের আয় প্রায় ৩০-৩৫ মিলিয়ন ডলার বেড়ে যাবে নতুন নীতির বাস্তবায়ন হলে। অন্যদিকে সুষম বণ্টনের নীতিতে প্রায় এক হাজার কোটি টাকার মত আয় কমে যাবে ভারতের। তিন মোড়ল নীতিতে আইসিসির মোট আয়ের ২০ ভাগেরও বেশি অর্থ চলে যেত ভারতের পকেটে।
নতুন নীতির পক্ষে ভোট দিয়েছে সাতটি দেশ। ভারত এবং শ্রীলঙ্কার ভোট যায় বিপক্ষে, আর জিম্বাবুয়ে ভোট দানে বিরত থাকে। শশাঙ্ক মনোহর বিগ থ্রির ক্ষতিকর নীতি থেকে ক্রিকেট বিশ্বকে সরিয়ে আনতে চেয়েছিলেন। নিজ দেশের ক্রিকেট বোর্ডের সমালোচনারও মুখে পড়তে হয় তাকে। গত ১৫ মার্চ ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে আইসিসির সভাপতির পদ ত্যাগ করেন মনোহর। এখন আগামী এপ্রিলে আইসিসির সাধারণ সভায় নির্ধারণ হবে নতুন নীতির ভবিষ্যৎ।