ওয়াইফাই বিষয়ক ‘ওয়াইফাই অ্যাসিস্ট’ নামের এক বিশেষ অ্যাপ নিয়ে ভোক্তাদের পক্ষ থেকে ৫০ লাখ ডলার জরিমানার মামলার মুখে পড়েছে অ্যাপল। অ্যাপলের আইওএস ৯ অপারেটিং সিস্টেমের ডিভাইসগুলোতে রয়েছে ওই বিশেষ ফিচার।
ফিচারটি চালু থাকা অবস্থায় যদি ওয়াইফাই ইন্টারনেটের সিগনাল দুর্বল হয়, তখন অপারেটিং সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবেই মোবাইল ইন্টারনেট ডাটা চালু করে দেয়। ফলে ব্যবহারকারী অনেকসময় তা খেয়ালও করেন না। এতে মাস শেষে তাদেরকে বিরাট অংকের মোবাইল বিল গুনতে হয়।
মামলার বাদী উইলিয়াম স্কট ফিলিপস এবং সুজান শ্মিড ফিলিপসের অভিযোগ হলো, ওয়াইফাই অ্যাসিস্ট উন্মোচনের সময় অ্যাপল ভোক্তাদের পরিষ্কার করে এর সব ফিচার সম্পর্কে স্পষ্টভাবে জানায়নি। ওয়াইফাই অ্যাসিস্ট-এ দুর্বল ওয়াইফাই সংযোগ থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগে চলে যাওয়ার ব্যবস্থাটি বন্ধ করা সম্ভব নয়, যদি না ওই অ্যাপটিই বন্ধ করে রাখা হয়।
আইওএস ৯-এ প্রথম থেকেই ওয়াইফাই অ্যাসিস্ট নিজ থেকে চালু হয়ে যায়। এ কারণে আইফোন এস৫ মোবাইল ফোনের অপারেটিং সিস্টেম আইওএস ৯-এ আপডেট করার পরই ফিলিপস দম্পতিকে মোবাইল অপারেটরের পক্ষ থেকে মোটা অংকের ডাটা চার্জের বিল ধরিয়ে দেওয়া হয়।
অ্যাপলের কাস্টমার সাপোর্ট পেজের তথ্য অনুযায়ী, ওয়াইফাই অ্যাসিস্ট অ্যাপের উদ্দেশ্য হলো দুর্বল ওয়াইফাই সিগনালের সময় মোবাইল ডাটা চালু করে গ্রাহককে নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সুবিধা দেওয়া। সেখানে সতর্ক করা হয়েছে, মোবাইল ডাটা চালু থাকা অবস্থায় অপারেটরের পক্ষ থেকে সামান্য ডাটা চার্জ কাটা হবে। তবে ব্যবহৃত সেই ডাটার পরিমাণ হবে খুবই কম।
কিন্তু বাস্তবে ওয়াইফাই অ্যাসিস্টের কারণে চার্জ করা মোবাইল ডাটার পরিমাণ অনেক বেশি বলেই অ্যাপলের বিরুদ্ধে মামলা করতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান উইলয়াম ও সুজান ফিলিপস। একই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন আরও বহু আইওএস ৯ ব্যবহারকারী বলে জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট।