চেন্নাই সুপার কিংসকে ৪৬ রানে হারিয়ে ২০১৩’র পর দ্বিতীয় বারের মতো ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল)শিরোপা ঘরে তুলে নিলো মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
মুম্বাইয়ের দেওয়া ২০৩ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথমেই মাইক হাসির উইকেট হারিয়ে বসে চেন্নাই। তখন দলীয় স্কোর ৪.৪ ওভারে ২২ রান।
হাসির বিদায়ে ডোয়াইন স্মিথের সঙ্গী হন সুরেশ রায়না। দুজন মিলে গড়েন ৬৬ রানের পর্টনারশিপ। ১১.৫ ওভারে হারভাজন সিংয়ের শিকারে পরিণত হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন স্মিথ। ফেরার আগে স্মিথ ৪৮ বল থেকে সংগ্রহ করেন ৫৭ রান। যাতে ১ চার আর ৯টি ছয়ের মার ছিলো।
স্মিথের বিদায়ে রায়নার সঙ্গি হন দলীয় অধিনায়ক মাহেন্দ্র সিং ধোনি। তবে এবার রায়নকে ফেরান হারভাজন। রায়নার সংগ্রহ ১৯ বল থেকে ২৮ রান।
তবে শেষ পর্যন্ত আর কেউ হাল ধরতে ব্যর্থ হলে ১৫৭ রানেই থামে চেন্নাইয়ের ইনিংস।
ইডেন গার্ডেন্সে দিনের শুরুতেই টসে জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়ক মাহেন্দ্র সিং ধোনি।
ধোনির সিদ্ধান্তের যথার্থতা প্রমাণে বেশি সময়ও নেননি চেন্নাই পেসার আশিষ নেহেরা। প্রথম ওভারে এক বল বাকি থাকতেই পার্থিব প্যাটেলকে প্যাভিলিয়নের পথ ধরান তিনি। দলীয় মাত্র ১ রানে ১ উইকেট হারিয়ে সাময়িক বিপদে পড়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতেই অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে সঙ্গে নিয়ে সিমন্স ১১৯ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ১২০ রানে রোহিতকে ফিরিয়ে চেন্নাইকে সাময়িক স্বস্তি এনে দেন ব্রাভো। ফেরার আগে রোহিত ২৬ বল থেকে তুলে নেন ৫০ রান। যাতে ছিল দুই ছয় ও ৬ চারের মার।
এরপর পোলার্ড শেষ পর্যন্ত রাইডু ধোনিদের হতাশা উপহার দিলে ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে মুম্বাইয়ের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২০২ রান।
সিমন্স ৪৫ বল থেকে সংগ্রহ করেন ৬৮ রান। ৩৬ করে করেন পোলার্ড ও রাইডু। সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন ডোয়াইন ব্রাভো।
ফাইনালে হেরে আট আইপিএলে তৃতীয় শিরোপা জয় থেকে বঞ্চিত হলো চেন্নাই সুপার কিংস।