ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ইতিহাসে এমন ঘটেনি আগে, ভারতের মাটিতে টুর্নামেন্ট অথচ কোনো ম্যাচ হয়নি মুম্বাইয়ে। সেই ইতিহাসেই এবার ছেদ পড়ল বলে! প্রথমবার কোনো ম্যাচ নাও হতে পারে মুম্বাইয়ে। যদিও বিসিসিআই এখনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি।
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স আইপিএলের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন। আসন্ন আসরেও হট ফেভারিট। এসব ছাড়িয়ে আলোচনার কেন্দ্র ছিল বিসিসিআইয়ের একটি বড় পরিকল্পনার অংশ হিসেবে। কদিন আগে খবর হয়েছিল, মুম্বাইয়ের তিনটি স্টেডিয়ামে হতে পারে এবারের আইপিএলের পুরো আসর।
কারণ হিসেবে সামনে ছিল করোনা পরিস্থিতি। একই রাজ্যে সব ম্যাচ না হলে, দুদিন পরপর দলগুলোর হোম-অ্যাওয়ে ম্যাচের জন্য ভ্রমণের কারণে নিরাপত্তা বলয় গড়া মুশকিল হয়ে উঠতে পারে। তারচেয়ে বিশাল নিরাপত্তা বলয় গড়ে কোভিড পরিস্থিতি মোকাবেলা করা সহজ! সেটা সম্ভব যদি এক রাজ্যেই পুরো টুর্নামেন্ট আয়োজন করা যায়।
মুম্বাইয়ের সঙ্গে পুনেকে রাখার পরিকল্পনাও ছিল বিসিসিআইয়ের। আর প্লে-অফের ম্যাচগুলো হওয়ার কথা আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম হিসেবে উদ্বোধন হয়ে যেটিতে কদিন আগেই ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের দিবা-রাত্রির টেস্টটি হয়েছে। যাতে বিরাট কোহলির দল জয় তুলেছে ১০ উইকেটে, দুদিনেরও কম সময়ে।
সেই করোনা পরিস্থিতিই এখন কাল হয়ে দাঁড়াচ্ছে মুম্বাইয়ের জন্য। কারণ মহারাষ্ট্রে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হারে অবনতির দিকে গড়াচ্ছে। বাধ্য হয়েই বিসিসিআইকে বিকল্প ভেন্যুর ভাবনায় যেতে হচ্ছে।
চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেনি সৌরভ গাঙ্গুলির বোর্ড। অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই এগোবে বিসিসিআই। আইপিএলের গভর্নিও কাউন্সিলের সঙ্গে বৈঠক হবে। কিন্তু মুম্বাইয়ের বাইরেই করতে হবে টুর্নামেন্ট, এমন ধরেই পরিকল্পনা গোছাচ্ছে বোর্ডটি।
আইপিএল-২০২১ মাঠে গড়াতে পারে এপ্রিলের ৮ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে। পর্দা নামার সম্ভাবনা মে মাসের শেষ বা জুনের প্রথম সপ্তাহে। সময়টার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ ও তামিল নাড়ুতে নির্বাচন আছে। সেটিও সমস্যা আইপিএলের জন্য!
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশটির করোনা আক্রান্ত রোগীর অর্ধেকের কাছাকাছি সংখ্যা মহারাষ্ট্র থেকে। এক লাখ ৬৯ হাজার শনাক্তের মধ্যে ৭৮ হাজারের বেশি কোভিড-১৯ রোগী মহারাষ্ট্রের। রোববার সেখানে সাড়ে ৪ হাজারের কাছে নতুন রোগী মিলেছে। যেদিন রাজ্যটি মৃত্যু দেখেছে ৬২ জনের।