চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

আইপিএলের সময় সব দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বন্ধ?

বিশ্ব ক্রিকেট এখন নিয়ন্ত্রণ হয় আইপিএলের ছন্দে। এ টুর্নামেন্টকে মাথায় রেখেই সব আন্তর্জাতিক দল সিরিজের সূচি সাজায়। ফ্র্যাঞ্চাইজি এই লিগ এখন ক্রিকেটারদের টাকা কামানোর সবচেয়ে ভাল উপায়। সেই সুযোগটাই নিতে চাইছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। আইপিএল চলাকালীন সব ধরনের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বন্ধ চায় তারা।

এই পথে হাঁটার এক সপ্তাহ আগেই আরও একবার অর্থের ঝাঁকুনি দিয়ে রেখেছে বিসিসিআই। আগামী মৌসুম থেকে আইপিএলের বেতনসীমা বাড়িয়ে ৯৬ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৭৯১ কোটি টাকা) করার প্রস্তাব দিয়েছে তারা। আগের তুলনায় ২০ ভাগ বেশি।

দেশের হয়ে খেলা থাকলে আইপিএল চলার সময় খেলোয়াড়দের ছেড়ে দিতে হয়। এমন সমস্যার মধ্যে আর আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিদের যেন না পড়তে হয়, সে কারণে এই টুর্নামেন্টের মধ্যে কোনও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ না দেয়ার দাবি করেছে ভারতীয় বোর্ড। বেতনের বাড়ানোর টোপের পর বিসিসিআই বলছে, এপ্রিল ও মে’তে যাতে কোনও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ না থাকে সেটাও দেখা হচ্ছে। তবে ২০১৯’র পর থেকে কার্যকর হবে।

ভারতের ইংরেজি দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদন জানাচ্ছে, ৭ ও ৮ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের দু’দিনের মিটিংয়ে এই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। যেখানে সব দেশের বোর্ডের তরফে ভবিষ্যৎ টুর্নামেন্ট নিয়ে পরিকল্পনার কথা জানানো হয়।

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডও পরিবর্তিত ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রামের (এফটিপি) কথা জানিয়েছে।

টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, অন্যান্য বোর্ডকে বিসিসিআই’র পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে যাতে সব বোর্ড তাদের আইপিএল খেলা খেলোয়াড়দের ফ্রি রাখে। ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড এখনও সবুজ সঙ্কেত দেয়নি। তবে ভারতীয় বোর্ডের বিশ্বাস খুব দ্রুত সেটা পাওয়া যাবে।

উদাহরণ হিসেবে বলা হচ্ছে, যে সময় আইপিএল চলে, ইংল্যান্ডে সেই সময়ই মৌসুম শুরু হয়। তবে বিসিসিআই’র বিশ্বাস ইসিবি সেই সময় কোনও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট খেলবে না।

সোমবার নয়াদিল্লিতে স্পেশাল জেনারেল মিটিংয়ে নতুন উইন্ডো নিয়ে আলোচনা হবে। যেটা ২০১৯ বিশ্বকাপের পর শুরু হবে।

পত্রিকাটির প্রতিবেদনে পাকিস্তান নিয়ে কোনও কথা বলা হয়নি। আইপিএলে পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা নিষিদ্ধ। ফলে পাকিস্তানিদের যেখানে খেলারই সুযোগ নেই, সেখানে তারা একই সময়ে কীভাবে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ না খেলার ব্যাপারে একমত হবে।

একটি দ্বিপক্ষীয় সিরিজ মুক্ত আইপিএল কীভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাঠামোকে ভবিষ্যতে পরিবর্তন করতে পারে তার প্রথম লক্ষণ হতে পারে টি –টুয়েন্টি টুর্নামেন্টটির আর্থিক আধিপত্য। এর মাধ্যমে আবারও দেখা যাচ্ছে ভারত বিশ্বব্যাপী ক্রিকেট শিল্পে নিজেদেরকে তুলে ধরার জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে। রাজস্বের বিষয়টিও স্পষ্ট।

নাম প্রকাশ না করে বিসিসিআইর একজন সিনিয়র কর্মকর্তা টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেছেন, ‘২০২০ সাল থেকে আইপিএল একমাত্র গ্লোবাল মার্কিং ইভেন্ট হবে।’