নতুন সড়ক পরিবহণ আইন পাস হলে রাস্তায় মানুষের মৃত্যুর হার অনেক নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে মন্তব্য করে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আইন হলে রাস্তায় পাখির মতো মাছির মতো মানুষ মরার এ যে প্রবণতা তার ওপর একটা নিয়ন্ত্রণ আরোপ হবে।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা’র সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষার্থীদের সকল দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে দাবি করে মন্ত্রী বলেন: ‘তাদের (আন্দোলনরত শিক্ষার্থী) যে দাবিগুলো সবগুলোরই সমাধান কিন্তু সড়ক পরিবহণ আইনের মধ্যে রয়েছে।’
সরকারের পক্ষ থেকে বারবার আশ্বাস থাকা সত্ত্বে বৈরি আবহাওয়া উপেক্ষা করে বৃহস্পতিবার পঞ্চম দিনের মতো ঢাকসহ সারাদেশে রাস্তায় অবস্থান করছে শিক্ষার্থীরা।
সড়ক পরিবহণ আইন পাশ হলে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা তৈরি হবে দাবি করে কাদের বলেন: ‘আইনটি হলে মানুষ আগের চেয়ে সচেতন হবে। কঠিন শাস্তি থাকলে সেখানে সতর্কতা আসেই। এই যে রাস্তা গাড়ি চলাচলে রেষারেষি এমন কি পথচারীদের রাস্তায় চলাচলের নিয়ম পথ পারাপারের নিয়ম এখানে যুক্ত থাকবে।’
এ সময় সড়কে চলাচলে শিক্ষার্থীদেরও সচেতন হওয়ার তাগিদ দেন সড়ক মন্ত্রী।
এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব নিতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন: ‘শিক্ষার্থীরা যাতে ট্রাফিক আইন মেনে চলে সে ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়েরও একটা দায়িত্ব আছে। একজন যখন মোবাইলে কথা বলতে বলতে রাস্তা পার হয় খেলায় থাকেনা একটা ছুটন্ত গাড়ি এসে চাপা দিয়ে যাচ্ছে। এগুলো রোধে সব কিছু আইনের মধ্যে আছে।’
আইনে কি আছে তার বিস্তারিত না বলে সাংবাদিকদের ওয়েব সাইট থেকে পড়ে নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বলেন: ‘আইনটা এখন খসড়া আকারে আছে। আমি আশা করি আগামী ক্যাবিনেটে এটি অ্যাপ্রুভ হবে। পার্লামেন্টে পাস হবে।’
আইনটি পাস হলে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবেন বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
গত চার দিনে শিক্ষার্থীরা সড়কে চলাচলকারী গাড়িগুলোর বৈধ কাগজ পত্র পরীক্ষা করে দেখেছে। বাদ পড়েনি মন্ত্রী, পুলিশ, সাংবাদিকের গাড়িও।
এ বিষয়ে কাদেরে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন: আমি মন্ত্রী কি চেকিং করিনি আপনাদের নিয়ে? আমি অলয়েজ রাস্তায় ছিলাম, অলয়েজ এ কাজগুলো করেছি। তারা প্রথম দেখাচ্ছে এমন তো না, এটা বাংলাদেশে দেখিয়েছি আমি। আমি রাস্তায় গিয়ে চেকিং শুরু করেছি।
সড়কের মামলাগুলো বছরের পর বছর পড়ে থাকলেও বিচার শেষ হওয়ার নজির কম আবার বিচার হলেও অনেক ক্ষেত্রে রায় বাস্তবায়নে সমস্যা দেখা দেয়। এ বিষয়ে সরকার কি কোন পদক্ষেপ?
জানতে চাইলে তিনি বলেন: ‘সড়কের মামলাগুলোতে দ্রুত বিচার সম্ভব যখন আইনটি পাশ হবে। বিচারে দীর্ঘসূত্রতার বিষয়ে আমরা পার্লামেন্ট আলোচনা করবো। প্রয়োগ না হলে তো আইন করে লাভ নেই। শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে যদি ভূমিকা রাখতে না পারে সে আইনের তো প্রয়োজন নেই।’