বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াসহ সরকারী সুবিধার বাইরে থাকা দলীয় প্রধানদের আচরণবিধি মেনে নির্বাচনী প্রচারে নামার ক্ষেত্রে কঠোর নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে প্রশাসনকে আওতার বাইরে হস্তক্ষেপ না করারও নির্দেশ দিয়েছে ইসি। পাশাপাশি আইন না ভাঙ্গতে সতর্ক করেছে এমপিদেরকেও।
পৌরসভা নির্বাচনকে ঘিরে নানা রকম রাজনৈতিক হিসাব নিকাশ শুরু হয়ে গেছে। আর প্রধান দলগুলোর অংশগ্রহণে এ নির্বাচন অবাধ ও গ্রহণযোগ্য হবে বলেই আশা করছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনী মাঠ থেকে বিএনপি’র সরে দাঁড়ানোর অবস্থা যাতে কেউ তৈরী না করে সেদিকেও নজর রাখছে ইসি।
সরকারী সুবিধার বাইরে থাকা দলের শীর্ষ নেতাদের আচরণবিধি মেনে প্রচারে যাওয়ার ক্ষেত্রে কঠোর নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
এরই মধ্যে বিভিন্ন স্থানে আচরণবিধি ভাঙার অভিযোগের বিষয়ে ইসির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ বলেন, এসব ব্যাপারে প্রশাসনকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আইন প্রণেতাদেরও আইন না ভাঙার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থী এবং রিটার্নিং অফিসারদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভাঙার অভিযোগ উঠলেও ইসির কাছে এখনও কোনো দল কিংবা প্রার্থী নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ করেনি।
শাহনেওয়াজ বলেন, শোভাযাত্রা মিছিল বা এমন কোন সভা না করেন যা পথ সভা বা বিরাট সভা না। কেউ আইন ভাঙ্গবেন না, আইন ভাঙ্গলে যে কেউ হন না কেনো এমনকি সরকার দলীয় কেউ হলেও আমাদের ব্যবস্থা নিতে হবে। আর সেটা আসলে সুখদায়ক হবে না। কোনো অস্বস্তিকর সিদ্ধান্ত নিতে আমদের বাধ্য করবেন না।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচন কমিশনের একমাত্র অধিকার নির্বাচন করা। গত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কোথাও কোথাও অভিযোগ আমরা পেয়েছি, সেখান থেকে শুধরে গেছি। আমরা এখন যথেষ্ট দায়িত্বশীল অন্য কেউ যেন হস্তক্ষেপ না করে।
‘তবে ইচ্ছা করে কেউ নির্বাচন থেকে সরে গেলে আমাদের কিছু করার নেই তবে কেউ যেন সরে যেতে বাধ্য না হয় সেই ব্যবস্থা আমরা করবো। আইন প্রণেতারাও যেন আইন ভাঙ্গার চেষ্টা না করেন।’ বলেন শাহনেওয়াজ।