মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ড পাওয়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দেয়ার জন্য ৪ পাকিস্তানীসহ ৭ জন আবেদন করেছেন। আইনে না থাকায় এ ধরণের আবেদনকে নজিরবিহীন বলেছেন এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার জন্য নির্ধারিত সময়ের একদিন আগে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষে রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হয় ১৪ অক্টোবর। পাঁচ দিনের মাথায় পাকিস্তানী ৪ নাগরিকসহ ৭ জনকে সাফাই সাক্ষী করার জন্য আপিল বিভাগে আবেদন করেছেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবী হুজ্জাতুল ইসলাম খান। পরে এ বিষয়ে মতামত তুলে ধরেন তার অন্যতম আইনজীবী, সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের সভাপতি এডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন।
বার এসোসিয়েশনের সভাপতি জানান, সাক্ষীদের সমন করতে আপিল বিভাগের কাছে আবেদন করেছি। সুষ্ঠু বিচারের স্বার্থে তাদের ডাকা হবে বলে আশা করছেন বলেও জানান।
তবে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা বলছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চলার সময় পর্যাপ্ত সাক্ষ্য এবং তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। ওই সাজা বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
এটর্নি জেনারেল জানান, সালাউদ্দিন কাদেরের সপক্ষে দেয়া তথ্য-প্রমাণ বিচার করেই ট্রাইব্যুনাল ও আপিল বিভাগ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। অপরাধীর বেলায় রিভিউতে সাক্ষী ডাকার নজীর নেই।
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রিভিউ আবেদনের শুনানির বিষয়ে চেম্বার জজ আদালতে শুনানি হবে মঙ্গলবার। বিচারের সময় ট্রাইব্যুনালেই সাফাই সাক্ষীরা সাক্ষ্য দেওয়ার কারণে এ পর্যায়ে এসে আর সাফাই সাক্ষ্যের সুযোগ আছে কিনা মূল শুনানিতে তা ঠিক হবে। পাকিস্তানীরা যে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দিতে চান তা প্রথম প্রকাশ পায় আল-জাজিরা অনলাইনে। প্রতিবেদনটি করেছেন আদালত অবমাননার দায়ে দণ্ডিত, ঢাকায় বাস করা ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান।