মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান রবি এবং এয়ারটেলের একীভূতকরণে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী, আইন বিশেষজ্ঞ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং ব্যবহারকারীদের কোনো আপত্তি, অভিযোগ কিংবা চাওয়া-পাওয়া আছে কি না তা জানতে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা ছাড়াও অংশ নেন সর্বস্তরের মানুষ।
দু’টি প্রতিষ্ঠানের বর্তমান কর্মীদের চাকরির নিশ্চয়তা, ভোক্তাদের অধিকার রক্ষা এবং তরঙ্গের সমবন্টনের বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখে রবি এবং এয়ারটেলের একীভূতকরণ শেষ করার দাবি উঠেছে শুনানিতে।
গণশুনানিতে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, একীভূতকরণে যাতে শুধু প্রতিষ্ঠান দু’টাই লাভবান না হয়। বিটিআরসি নিশ্চয়তা দিয়েছে সব দিক বিবেচনায় রেখেই হবে একীভূকরণের কাজ।
একীভুতকরণের কারিগরি ও আইনি আলোচনার পাশাপাশি ভোক্তা অধিকার নিয়েও হয়েছে বিতর্ক।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছে, একীভূতকরণ হবে ধাপে ধাপে। বাজার সমীক্ষা, অপারেটর ও গণমানুষের মতামতের ভিত্তিতে বিটিআরসি’র উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের বিবেচনার পর আইনি প্রক্রিয়ায় এক হবে প্রতিষ্ঠান দুটি।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান ডক্টর শাহজাহান মাহমুদ বলেন, গণশুনির উদ্দেশ্য হলো, যারা বাজারে যাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আছে কিনা, তাদের কাছে কােনো টাকা-পয়সা পাওয়া আছে কিনা বা তাদের বিরুদ্ধে আইনি কোনো ঝামেলা আছে কিনা।
যারা গণশুনানিতে অংশ নিতে পারেননি তারা অনলাইনেও মত জানাতে পারবেন বলে জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।