চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

আইএসের সঙ্গে ‘সম্পর্ক’ পাকিস্তানে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল

জঙ্গি সংগঠন আইএসের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে পাকিস্তানের সিন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর ভর্তি বাতিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, ওই শিক্ষার্থী নাম নুরিন লেগারি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সিরিয়ায় আইএসের কাছ থেকে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। পাশাপাশি লাহোরের একটি গির্জার আত্মঘাতী হামলা চালানোর ব্যর্থ চক্রান্তের অংশ ছিলেন।

নুরিন লেগারির বাড়ি সিন্ধুর হুসেনাবাদে। এটি হায়দরাবাদের কাছের একটি শহর। সিন্ধুর জামশহুরের লিয়াকত ইউনিভার্সিটি অব মেডিকেল অ্যান্ড হেলথ সায়েন্সেসে পড়ার সময় ২০১৭ সাল থেকে অনুপস্থিত নুরিন। এর দু’মাস পর লাহোরে আত্মঘাতী হামলার সময় তিনি গ্রেপ্তার হন। একই সঙ্গে তার সহযোগী আলীকে নিরাপত্তা বাহিনী হত্যা করে। ওই সময় লিয়াকত ইউনিভার্টিসটি কর্তৃপক্ষ তার ভর্তি বাতিল করে।

এরপর ২০১৮ সালের নভেম্বরে নুরিন সিন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার আগের ঘটনা সম্পর্কে অবগত হওয়ার পর ভর্তি বাতিল করে দেন বলে জানায় দ্য নিউজ।

ভর্তি বাতিলের বিরুদ্ধে নুরিনের বাবা ড. আব্দুল জব্বার লেগারি, (যিনি কিনা এ এম কাজী ইনস্টিটিউট অব রসায়ন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক) সিন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে সিন্ধুর উচ্চ আদালতে যৌথ সাংবিধানিক পিটিশন দাখিলের জন্য আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয় যে, কে -২৫ সংবিধান অনুসারে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নুরিন এর শিক্ষার অধিকার অস্বীকার করতে পারে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফতেহ বুরফাত সাংবাদিকদের বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা নুরিনকে কি কারণে লুমাস থেকে বহিস্কার করা হয়েছিলো সে তথ্য যাচাই করছে।  আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছ থেকে যাচাই পাওয়ার পর তা ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র নাদির আলী মুহেরী বলেন, সিন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করার সময় নুরিন তার আগের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বাতিলের ঘটনা গোপন রেখেছিলেন।

মূলত ২০১৭ সালে গ্রেপ্তারের সময়ই নুরিন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছিলেন।

সে সময় পাকিস্তানের সামরিক মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুরের একটি সংবাদ সম্মেলনে এক স্বীকারোক্তিমূলক বিবৃতিতে নুরিন বলেন যে, ইস্টার সানডেতে গির্জার ধর্মীয় আয়োজনে হামলা চালানোর জন্য তাকে ইসলামী রাষ্ট্র দ্বারা আত্মঘাতী বোমা হামলার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল।

তিনি বলেন, মিশনটি চালানোর জন্য আইএসের দুটি আত্মঘাতী জ্যাকেট, চারটি গ্রেনেড এবং কিছু বুলেট দেওয়া হয়েছিল।