চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

অ্যালকোহল গ্রহণেও নারী-পুরুষে সমতা

শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্র থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন এখন নারীদের। পুরুষের সঙ্গে ঘরে-বাইরে নারীরা প্রায় সমান অধিকার ও দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে চলার পথে আছেন।

তবে সমতা এখন শুধু উন্নয়নমূলক ক্ষেত্রে সীমিত নেই। ক্ষতিকর কিছু ব্যাপারেও বর্তমানে তা লক্ষণীয়। এমনই এক উদ্বেগজনক সমতার তথ্য প্রকাশ করেছে বিএমজে ওপেন রিপোর্ট।

অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলস’র একদল গবেষকের প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যালকোহল গ্রহণ, বা মদ্যপানে অভ্যস্ত পুরুষ ও নারীর সংখ্যার পার্থক্য দিন দিন কমে আসছে। কমতে কমতে এখন প্রায় সমানই হয়ে গেছে বলা যায়।

গবেষক দলটি ১৮৯১ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে ৪০ লাখ মানুষের অ্যালকোহল গ্রহণের প্রবণতা ও অভ্যাস বিশ্লেষণ করে দেখতে পান, প্রথম দিকে পুরুষেরা নারীদের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে মদ্যপান করতেন এবং এ কারণে সৃষ্ট স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগতেন।

কিন্তু বর্তমান প্রজন্মে নারী-পুরুষে এই পার্থক্যটা অনেকটাই কমে এসেছে।

গবেষণা প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ১৯ শতকের প্রথম দিকে পুরুষেরা:

  • নারীর চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি (২.২ গুণ) অ্যালকোহল গ্রহণ করতেন;
  • বিপজ্জনক হারে মদ্যপান করতেন প্রায় তিন গুণ;
  • সাড়ে তিন গুণের বেশি (৩.৬ গুণ) মদ্যপানের কারণে লিভার সিরোসিসসহ নানা ধরণের স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত হতেন।

কিন্তু শতাব্দির শেষে দেখা গেল পুরুষেরা:

  • নারীর তুলনায় মাত্র ১.১ গুণ, অর্থাৎ প্রায় সমপরিমাণ অ্যালকোহল গ্রহণ করছেন;
  • বিপজ্জনক হারে মদ্যপান মাত্র ১.২ গুণ;
  • অ্যালকোহলের কারণে স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন ১.৩ গুণ।

বিশ্লেষণ শেষে গবেষকরা সিদ্ধান্তে এসেছেন: অ্যালকোহল গ্রহণকে সবসময়ই প্রধানত পুরুষের কাজ হিসেবে মনে করে আসা হয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণায় এই ধারণাটি প্রশ্নের সম্মুখীন। বিশেষ করে কমবয়সী নারীরা মদ্যপানের দিকে বেশি ঝুঁকে পড়ছেন। তাই অ্যালকোহল গ্রহণ এবং এর ক্ষতিকর দিকগুলো থেকে বাঁচাতে তাদের দিকে সচেতন দৃষ্টি দিতে হবে।

সময়ের সাথে সাথে সমাজে নারী-পুরুষের ভূমিকা ও কাজের পরিসরে অনেক পরিবর্তন এসেছে। এটি অ্যালকোহল গ্রহণে নারী ও পুরুষের মধ্যে পার্থক্য কমে আসা এবং নারীর মদ্যপানের প্রবণতা বাড়ার পেছনে অনেক বড় একটি কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।