অ্যামেচার রেডিও সার্ভিস সনদ দিতে পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এ বছর পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ২১০ জনের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১৭৭ জন।
এর আগে এ বছরের ১৯ আগস্ট বিটিআরসি’তে অ্যামেচার রেডিও লাইসেন্সের জন্য পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় পরীক্ষার্থীদের নিয়ে বৈঠক করেন বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ।
সে সময় তিনি জানিয়েছিলেন, এক মাসের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হবে। তবে ফল প্রকাশ করা হলো চার মাস পর।
অ্যামেচার রেডিও নিয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ জানান, দেশে অ্যামেচার রেডিও ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে বিটিআরসি। এজন্য এখন থেকে প্রতি বছর এ পরীক্ষা নেওয়া হবে।
উত্তীর্ণ হ্যামদের অভিনন্দন জানিয়েছে দেশের অ্যামেচার রেডিও ব্যবহারকারীদের একমাত্র সংগঠন বাংলাদেশ অ্যামেচার রেডিও লীগ। বিটিআরসি তাদের যথাযথ নিয়ম মেনে দ্রুতই রেডিও ব্যবহারের সুযোগ করে দিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন এর অন্যতম সংগঠক অনুপ কুমার ভৌমিক।
অ্যামেচার রেডিও হলো মূলত একটি শখের কাজ। শখের এ বেতারযন্ত্র দিয়ে অন্য একটি বেতারযন্ত্রে কথা বলা বা তথ্য নেওয়া-দেওয়াই হলো অ্যামেচার রেডিও অপারেটর বা হ্যামদের কাজ। হ্যামরা পাহাড়ের চূড়া, নিজের বাসা অথবা গাড়িতে বসে চাইলে মহাকাশযানের নভোচারীদের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারেন। নভোচারীদের সবাই হ্যাম। মহাকাশে যাওয়ার সময় তারা সবাই কল-সাইন ব্যবহার করে অন্য হ্যামদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
দেশের দুর্যোগের সময় যখন সব ধরনের টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন থাকে, তখনও এই অ্যামেচার রেডিও ব্যবহার করে আপদকালীন সময়ে রেডক্রসের মতো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের হয়ে উদ্ধারকাজেও অংশ নিয়ে থাকে হ্যামরা।
তবে এই রেডিও বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করা যাবে না। মূলত শখ মেটাতেই এই রেডিও ব্যবহারের লাইসেন্স দেয় বিটিআরসি।
২০১৭ সালের অ্যামেচার রেডিও পরীক্ষার ফল জানা যাবে এই লিংক থেকে।