ইংল্যান্ড পেসার জেমস অ্যান্ডারসন প্রথম অস্ট্রেলিয়া সফর করেছিলেন ২০০২-০৩ মৌসুমে। সেসময় অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথের বয়স ছিল মাত্র ১২ বছর। তরুণ অ্যান্ডারসনের কোনও স্মৃতি অজি অধিনায়কের মনে আছে কিনা কে জানে! তবে ইংলিশ পেসারের বুড়ো হাড়ের ভেলকিটা হয়ত অনেকদিন মনে রাখবেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে যে সবচেয়ে বেশি বয়সে ৫ উইকেট নেয়ার রেকর্ডটা করেছেন জিমি।
অ্যাডিলেড টেস্টের প্রথম থেকেই খুব একটা ভাল অবস্থায় নেই ইংল্যান্ড। ম্যাচের ফলাফল যাই হোক, অ্যান্ডারসনের ব্যক্তিগত অর্জনটা নিয়ে তৃপ্তি পেতেই পারে সফরকারীরা।
প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেটে ৪৪২ রানে ইনিংস ঘোষণা করা অস্ট্রেলিয়াকে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩৯ রানেই গুটিয়ে ফেলেছে ইংল্যান্ড। স্মিথ বাহিনীকে বস্তাবন্দীর আসল কাজটা করেছেন অ্যান্ডারসন। ৪৩ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন। প্রথম ইনিংসে একটি উইকেট পেয়েছিলেন জেমস।
এতে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সবচেয়ে বেশি বয়সী পেসার হিসেবে ৫ উইকেট নেয়ার রেকর্ড গড়লেন অ্যান্ডারসন। ৩৫ বছর ১২৮ দিন বয়সে এই নজির গড়লেন ইংলিশ তারকা। এর আগে ২০০৬ সালে গ্যাবায় বেশি বয়সে ৫ উইকেট নিয়ে রেকর্ড গড়েছিলেন অজি পেসার গ্লেন ম্যাকগ্রা। আর এই রেকর্ডের প্রথমটি করেছিলেন অ্যান্ডারসনের স্বদেশী জর্জ গ্যারি, ১৯২৯ সালে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে।
অ্যান্ডারসন টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৫তম বার ৫ উইকেট পেলেও অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এবারই প্রথম। অজি মাটিতে ৩০তম ইনিংসে বোলিং করে প্রথমবার ৫ উইকেট পেলেন তিনি। এছাড়া ক্রিস ওকস নিয়েছেন ৪ উইকেট।
তাতে ৪ উইকেটে ৫৩ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করা অস্ট্রেলিয়া মাত্র ৮৫ রান যোগ করেই অলআউট হয়ে যায়। কোনও অজি ব্যাটসম্যানই ২০ রানের বেশি করতে পারেননি। এতে ইংল্যান্ডের সামনে টার্গেট দাঁড়িয়েছে ৩৫৪ রানের। নিজেদের প্রথম ইনিংস ইংল্যান্ড অলআউট হয় ২২৭ রানে।
অ্যান্ডারসন নজির গড়লেও স্বস্তিতে নেই ইংল্যান্ড। সিরিজে পিছিয়ে থাকা ইংলিশদের জিততে হলে নিজেদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করতে হবে। আর সব মিলিয়ে টেস্ট ইতিহাসের দশম সর্বোচ্চ চেজ হবে সেটি। এর আগে সর্বোচ্চ ৩৩২ রান চেজ করে জেতার নজির আছে ইংল্যান্ডের। তাও আবার সেই ১৯২৮-২৯ অ্যাশেজে।
সামনে কঠিন টার্গেট থাকলেও পঞ্চম দিনে রোমাঞ্চকর কিছু আভাস দিয়েছে রেখেছে ইংল্যান্ড। ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান তুলে চতুর্থদিনের খেলা শেষ করেছে ইংলিশরা। ৬ উইকেট হাতে নিয়ে শেষ দিনে আর ১৭৭ রান দরকার সফরকারীদের।