শিরোনাম হিসেবে এর বাইরে ভালো কোনো শব্দ খুঁজে পায়নি ভারতীয় পত্রিকা টাইমস অব ইন্ডিয়া। কিছুক্ষণ আগে অ্যাডিলেডে যা হয়েছে তাকে স্রেফ গণহত্যা বলেই চালিয়ে দিয়েছে তারা। এক হিসেবে শব্দের ব্যবহারটাও নেহাত মন্দ নয়, ক্রিকেট যে দেশে একটি ধর্মের মতো সেখানে ৩৬ রানে অলআউট হওয়া তো গণহত্যারই শামিল!
কী হওয়ার কথা ছিল আর কী হলো? অস্ট্রেলিয়ার কাছে দ্বিতীয় ইনিংসে নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে সর্বনিন্ম ৩৬ রানে বিধ্বস্ত হবার এই একটাই জবাব খোঁজার আছে ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলির। ৫৩ রানের লিড থাকার পরও একটা দল কিভাবে লজ্জায় মাথা নত হতে পারে তারই জ্বলন্ত উদাহরণের নাম এখন ভারত।
অথচ তৃতীয় দিনটা যখন শুরু করে ভারত, তাদের হাতে তখন পর্যন্ত আছে ৯ উইকেট। প্রথম ইনিংসের সঙ্গে মিলিয়ে ৬২ রানের লিড। সেই রানের সঙ্গে আর যোগ হয়েছে মাত্র ২৭ রান, তাতেই শেষ বাকি ৯ উইকেট। এমনই এক ইনিংস খেলেছে দলটি যেখানে দুই অংকের কোঠা পেরোতে পারেননি কোনো ব্যাটসম্যান।
দিনে ধ্বংসের শুরুটা করেছেন প্যাট কামিন্স, ২ রানে নাইটওয়াচম্যান জসপ্রিত বুমরাহকে ফিরিয়ে। কিছুক্ষণ বাদে চেতেশ্বর পূজারাও শিকার কামিন্সের, কোন রান না করেই।
মায়াঙ্ক আগারওয়ালকে ৯ রানে ফিরিয়ে ধ্বংস মিছিলে শামিল হন জস হ্যাজেলউড। ভারতের ইনিংসে এটাই সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।
অস্ট্রেলিয়ার বোলিং লাইন আপকে কেবল দুইভাবেই বর্ণনা করা যায়। কামিন্স ও হ্যাজেলউড। টপ অর্ডারে বিরাট কোহলিসহ ২১ রানে চার ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে ধসের শুরুটা করেন কামিন্স। সেখান থেকে বাকিটা শেষ করেছেন হ্যাজেলউড। লেজের ব্যাটসম্যানদেরসহ মাত্র ৮ রানে শেষ পাঁচ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
মোহাম্মদ শামি তো ব্যাটই ধরতে পারেননি, চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
ভারতের টেস্ট ইতিহাসে এটাই এখন সর্বনিন্ম রানের ইনিংস। এর আগে ৪৬ বছর আগে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪২ রানে অলআউট হওয়াটাই ছিলো লজ্জার।
মাত্র ৯১ রানের টার্গেটে তাড়াহুড়ো করেননি দুই অজি ওপেনার ম্যাথু ওয়েড ও জো বার্নস। ওয়েড ৩৩ ও ৬ রান করা লাবুশেনকে হারালেও কোনো অলৌকিক কিছু ঘটেনি, ৮ উইকেট হাতে রেখে তিনদিনেই খেলা শেষ করেছে অস্ট্রেলিয়া।