অভিবাসন, অস্ত্র ব্যবসা আর জলবায়ু পরিবর্তনের মতো নানা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে বিপরীত অবস্থানে থাকা খ্রিস্টীয় ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবশেষে দেখা হলো। ভ্যাটিকানে ট্রাম্পকে হাসিমুখে হাত মিলিয়ে স্বাগত জানান পোপ। এরপর বৈঠকের উদ্দেশে ট্রাম্পকে নিজের পড়ার ঘরে নিয়ে যান তিনি।
নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, বাইরে হাসিখুশি আর উষ্ণ দেখা গেলেও ট্রাম্প আর পোপের মধ্যকার অবস্থানগত বিরোধ যেন তাদের ভেতর থেকে চারপাশে ছড়িয়ে পড়ছিল। যদিও দু’জনই এই বৈঠকে রাজনৈতিক বিষয়গুলোকে আনবেন না – এমন সিদ্ধান্তের প্রতি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন, কিন্তু তাদের মধ্যকার অস্বস্তি আর টানাপোড়েনটা উষ্ণ আচরণের মাঝেও প্রকাশ পাচ্ছিল।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের প্রথম বিদেশ সফরের তৃতীয় অংশ হিসেবে ভ্যাটিকান ও রোম সফর করছেন ট্রাম্প। বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ১২টার একটু আগে তিনি ভ্যাটিকান পৌঁছান। অ্যাপস্টোলিক প্যালেসে ওই বৈঠকে তার সঙ্গে ছিলেন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া।
২০১৪ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার পর দ্বিতীয়বারের মতো আরেকজন আমেরিকান প্রেসিডেন্টকে পোপ সেখানে স্বাগত জানালেন।
পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠকের আগের রাতেই পোপের অন্যতম ঘনিষ্ঠ উচ্চ পর্যায়ের ভ্যাটিকান কর্মকর্তা কার্ডিনাল পিটার টার্কসন টুইটারে ট্রাম্প-পোপ দৃষ্টিভঙ্গির তফাতের ব্যাপারে একটি পোস্ট দেন।
টুইটবার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘পোপ ফ্রান্সিস এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মুসলিম বিশ্বকে নিজের মতো করে সহিংসতা থেকে মুক্ত করার চেষ্টা করেন। একজন আলোচনার মধ্য দিয়ে শান্তির প্রস্তাব দেন, আর অন্যজন অস্ত্রের মাধ্যমে সুরক্ষার কথা বলেন।’
সৌদি আরব সফরে ১১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অস্ত্রচুক্তির দিকে ইঙ্গিত করেই টুইটটি করেন কার্ডিনাল টার্কসন।
পোপের সঙ্গে এই বৈঠকের পর ইতালির প্রেসিডেন্ট সার্জিও মাত্তারেলা ও প্রধানমন্ত্রী পাওলো গেন্টিলোনির সঙ্গে দেখা করবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
ইতালি সফরের পর বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে ন্যাটো সম্মেলনে অংশ নেয়ার উদ্দেশ্যে ট্রাম্প ও তার বহর রওনা দেবেন।