চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

অস্ত্র মামলাতেও খালাস পেলেন সালমান

বেআইনি অস্ত্র রাখার মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন বলিউড অভিনেতা সালমান খান। বুধবার যোধপুরে মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত ভাইজনাকে খালাস দেন।

সালমানের আইনজীবী জানিয়েছেন, সরকারি পক্ষ প্রয়োজনীয় প্রমাণ দিতে পারেনি। তাই বিচারক খালাস দিয়েছেন তাকে।

অভিযোগ ছিল, লাইসেন্সের মেয়াদ শেষের পরেও অস্ত্র রেখেছিলেন সালমান। সেই বন্দুক দিয়েই ১৮ বছর আগে বিরল প্রজাতির চিত্রা হরিণ মেরেছেন তিনি।

গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বোন আলভিরা আর আইনজীবীদের সঙ্গে যোধপুর পৌঁছা সালমান। এদিন সকালেই আদালতে পৌঁছান আলভিরা। কিন্তু বিচারক সালমানকেও হাজিরার নির্দেশ দেন। তার পরেই আদালতে পৌঁছান নায়ক।

১৯৯৮ সালে যোধপুরে একটি ছবির শুটিংয়ে গিয়ে জঙ্গলে ২টি চিঙ্কারা হরিণ, ২টি কৃষ্ণসার হরিণ শিকার করেন সালমান। সঙ্গে ছিলেন সাইফ আলী খান, সোনালি বেন্দ্রে, টাবু ও নীলম। এই সংক্রান্ত ৪টি মামলা দায়ের হয়। ২০০৭ সালে এক সপ্তাহ যোধপুরের জেলেও ছিলেন সালমান। তারপর জামিনে ছাড়া পান।

দুটি মামলায় ইতিমধ্যে সালমানকে বেকসুর খালাস দিয়েছে রাজস্থান হাইকোর্ট। রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গেছে রাজ্য সরকার। দুটি কৃষ্ণসার শিকার সংক্রান্ত তৃতীয় মামলাটি শেষের পথে।

১৯৯৮–এর অক্টোবরে চতুর্থ মামলাটি দায়ের করে পুলিশ। যাতে বলা হয়, .‌২২ রাইফেল এবং .‌৩২ রিভলভার রেখেছিলেন সালমান। এগুলির লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।

সালমানের আইনজীবী যদিও দাবি করেন, তার কাছে শুধু এয়ারগান ছিল। সালমান জানান, তার বিরুদ্ধে নকল মামলা সাজানো হয়েছে। ৯ জানুয়ারি মামলার শুনানি শেষ হয়। এদিন সেই মামলারই রায়ে দিলেন বিচারক।

দোষী সাব্যস্ত হলে ৩ থেকে ৭ বছর জেল হত তার। গত মার্চে মুম্বাইয়ের ফুটপাথে গাড়ি চাপা দিয়ে খুনের মালায় সালমানকে বেকসুর খালাস করে মুম্বাই হাইকোর্ট। ওই মামলায় নিম্ন আদালত তাকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল।