২০২১ সালের শুরুতেই সীমান্ত খুলে দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সাথে কোয়ারেন্টাইন মুক্ত ভ্রমণে সম্মত হয়েছে নিউজিল্যান্ড।
সোমবার দেশটির মন্ত্রিসভা নীতিগতভাবে এ সিদ্ধান্ত নেয়।
করোনাভাইরাস থেকে নিউজিল্যান্ডের নাগরিকদের সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে তাদের সীমান্তে লকডাউন দেয় দেশটির সরকার। তারপর থেকে প্রায় বছরখানেক বন্ধ রয়েছে সীমান্ত।
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন রাজধানী ওয়েলিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, অস্ট্রেলিয়ার সাথে কোয়ারেন্টাইন-মুক্ত ভ্রমণের বিষয়ে ট্রান্স-তাসমান ভ্রমণ নীতিতে নীতিগতভাবে একমত হয়েছে তার মন্ত্রিসভা। তবে এ ভ্রমণনীতিতে দুই দেশের পক্ষ থেকে তেমন কোনো পরিবর্তন আসছে না।
‘‘আমাদের ইচ্ছা ছিল তারিখ ঘোষণা করার কিন্তু সামনের নিউ ইয়ারের কারণে এখনো লকডাউনের বিষয়ে বিবেচনায় রয়েছে।’’
নিউজিল্যান্ড কঠোর লকডাউন প্রয়োগ করে এবং সীমান্তগুলো বছরের বেশিরভাগ সময় বন্ধ রেখে করোনা ভাইরাসকে কঠিনভাবে নির্মূল করেছে।
জাসিন্ডা আরডার্ন আরও বলেছেন, নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে আরও কিছু প্রয়োজনীয় কাজ করতে হবে। তবে নিউজিল্যান্ড খুব সতর্কতা নিয়ে ভ্রমণ চুক্তিটি চূড়ান্ত করবে।
ট্রান্স-তাসমান ভ্রমণের বিষয়ে কয়েক মাস ধরেই আলোচনা চলছে এবং অস্ট্রেলিয়ান অনেক অঞ্চল নিউজিল্যান্ডের নাগরিকদের অক্টোবরের পর থেকে কোয়ারেন্টাইন ছাড়াই প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে কিন্তু নিউজিল্যান্ড তা করেনি।
অস্ট্রেলিয়াও মহামারীর প্রথমদিকে তাদের আন্তর্জাতিক সীমানা বন্ধ করে দিয়েছিল। নিউজিল্যান্ডের নাগরিকদের বাদে কেবল অস্ট্রেলিয়ানদের ফিরে আসার সুযোগ দেয়।
অস্ট্রেলিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী গ্রেগ হান্ট সাংবাদিকদের বলেছেন, এটি একটি উদাহরণ যে নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া কেবল একসাথে কাজ করছে না। তবে উভয় দেশের পরিবারগুলি উভয় দিকে ফিরে আসতে পারবে, বন্ধুরা দু’দিকেই ফিরে আসতে পারবে এবং উভয় দিকেই প্লেনগুলি পূর্ণ হতে পারে।”