নির্ধারিত সময়ে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজ শুরুর শেষ আশাটিও শেষ হয়ে গেলো। ক্রিকেটারদের বাংলাদেশ সফর ক্যাম্প থেকে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। তবে সিএ’র পক্ষ থেকে নিরাপত্তা বিষয়ে ঢাকার সঙ্গে আলোচনার বিষয়টি চালিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও একই কথা বললেও ক্যাম্প গুটিয়ে নেওয়ার খবরে আপাততঃ আর কোনো আশা দেখছে না বিসিবি।
সিএ’র সর্বশেষ ঘোষণায় বলা হয়েছে, যারা ঢাকা যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন তারা যেনো ম্যাটাডর কাপের জন্য রাজ্য দলে যোগ দেন। টেস্ট দলে থাকার কারণে যাদের রাজ্য দল এরইমধ্যে পূর্ণাঙ্গ হয়ে গিয়েছিলো তারা নতুন করে গঠিত সিএ ইলেভেন দলে যোগ দেবেন।
নতুন অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া দলের সোমবার বাংলাদেশে আসার কথা ছিলো। আলাদা আলাদা বিমানবন্দর থেকে তাদের এক হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভ্রমণ সতর্কতা জারি করার পর তাদের যাত্রা পিছিয়ে যায়। সেই অর্থে তারা এক জায়গায় ক্যাম্পে যোগ না দিলেও নিজ নিজ জায়গায় অপেক্ষমান থাকাকেই ক্যাম্প হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছিলো।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এখন তা বতিল করায় অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটাররা স্থানীয় ক্রিকেটে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন।
এর আগে ঢাকা সফর করে মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়া ফিরে যান অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট দলের নিরাপত্তা প্রধান শন ক্যারল। টিম ম্যানেজারও বুধবার ফিরে গেছেন।
তারা ঢাকার নিরাপত্তা সংস্থাগুলো থেকে কি ধরণের আশ্বাস নিয়ে গেছেন তার উপর অস্ট্রেলিয়ার সফরের তারিখ ঠিক করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
সমস্যার শুরু হয় ২৫ সেপ্টেম্বর । ওইদিন অস্ট্রেলিয়ার ডিপার্টমেন্ট অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স এন্ড ট্রেড তার নাগরিকদের জন্য বাংলাদেশ ভ্রমণের ব্যাপারে ‘সিকিউরিটি অ্যালার্ট’ জারি করলে পরদিন টেস্ট দলের বাংলাদেশ সফর শুরুর সময় পিছিয়ে দেয় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
অবস্থা পর্যবেক্ষণে অস্ট্রেলীয় নিরাপত্তাদলের ঢাকা সফরের মধ্যেই গুলশানে এক ইতালীয় নাগরিক দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন।