ঘরের মাঠে স্পিনই বাংলাদেশের শক্তির জায়গা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে স্পিন সহায়ক উইকেটে সুবিধা মিলেছিল। মিরপুরে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে মেহেদী হাসান মিরাজের অফস্পিনে ধসে গিয়েছিল ইংলিশ ব্যাটিং। ঘূর্ণি জাদুতে দুই ইনিংসে মিরাজের ঝুলিতে এসেছিল ৬টি করে উইকেট। সেই সুখস্মৃতি এখনও তরতাজা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও স্পিন সহায়ক উইকেট প্রত্যাশা করছেন ইংলিশ-বধের এই নায়ক।
‘আসলে উইকেট তো আমাদের হাতে না। যদি তেমন উইকেট পাই, আমাদের জন্য সুবিধা হবে, ভালো হবে। স্পিনারদের জন্য কাজটা সহজ হবে।’
ইংল্যান্ডের মতো অস্ট্রেলিয়াকেও হারানো সম্ভব হবে কিনা- এমন প্রশ্নে মিরাজ বললেন, ‘আমরা শুধু ওয়ানডেতে ভালো খেলছি না, টেস্টেও ভালো খেলেছি শেষ এক বছরে। আমরা খুব ভালো ক্রিকেট খেলছি। বড় বড় দলের সাথে আমরা জিততে শুরু করেছি। ইংল্যান্ডের সাথে জিতেছি, শ্রীলঙ্কার মাটিতে জিতেছি। বিশ্বের বড় বড় দলকে হারানোর যোগ্যতা রাখি আমরা। সেটা তো আমরা প্রমাণ করেছি।’
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ সামনে রেখে কন্ডিশনিং ক্যাম্প শুরু করেছে বাংলাদেশ দল। আগামী তিন সপ্তাহ ফিটনেস নিয়েই মনোযোগী থাকবেন ক্রিকেটাররা। তারপর স্কিল ট্রেনিং। স্কিলের সঙ্গে রয়েছে ফিটনেসের যোগসূত্র। তাইতো মিরাজ ফিটনেস ক্যাম্পকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন।
‘ফিটনেস ক্যাম্প অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এরকম সময় আর পাব না। এখানে ঝালাই করতে পারব। তখনই স্কিল ডেভেলপ করতে পারব, যখন ফিটনেস ইমপ্রুভ হবে। তখন আমাদের সবকিছুই ইমপ্রুভ হবে। ফিটনেস ঠিক থাকলে পারফর্ম করতে সুবিধা হবে। সামনে অনেক খেলা আছে। সামনের এক বছর ব্যস্ত সূচি থাকবে। এটা হেল্প করবে। এখন তিন সপ্তাহ সুযোগ আছে ফিটনেসে উন্নতি করার। খেলার সময় যেটা সম্ভব হয় না।’
ফিটনেস ক্যাম্প শেষ করে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) অংশ নেবেন মিরাজ। খেলবেন ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের হয়ে। ৪ আগস্ট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে মিরাজদের প্রতিপক্ষ সেন্ট লুসিয়া স্টার্স। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ঘরোয়া টি-টুয়েন্টি খেলতে এ মাসের শেষ দিকে ঢাকা ছাড়বেন ১৯ বছরের এই তরুণ অলরাউন্ডার।
‘এ ব্যাপারে বিসিবি ও কোচের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা বলেছে, কন্ডিশিনিং ক্যাম্প শেষে যেতে পার। আশা করি বিসিবি থেকে দ্রুতই অনাপত্তিপত্র পেয়ে যাব। কন্ডিশনিং ক্যাম্প শেষ করেই যাব সেখানে।’