নর্দান টেরিটোরি একাদশের বিপক্ষে একমাত্র তিনদিনের ম্যাচে প্রথম দিনে দাপট দেখিয়েছে বাংলাদেশ এইচপি দলের ব্যাটসম্যানরা। তবে দ্বিতীয় দিনে বোলাররা পড়েছে কঠিন পরীক্ষায়। প্রতিপক্ষের মাত্র তিনটি উইকেট তুলে নিতে পেরেছেন তানবীর-রনিরা। আর ৭ উইকেট হাতে রেখে ৪ রানের লিড নিয়েছে স্বাগতিকরা।
শুক্রবার এনটি একাদশ ৩ উইকেটে ৩১৬ রান তুলে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে। ডিকম্যানের অপরাজিত ১০২ ও হ্যাকনের ৯৭ রানে বড় সংগ্রহের ভিত পেয়েছে দলটি।
সকালে ৮৪ রানের উদ্বোধনী জুটিতে শুরুতেই ছন্দে ছিল এনটি একাদশ। রাব্বির ক্যাচ বানিয়ে ম্যাকসুইনেকে (৪০) নিহাদুজ্জামান সাজঘরে পাঠালে প্রথম সাফল্য পায় সফরকারীরা। এরপর অধিনায়ক গ্রেগরিকে (১৭) ফেরান তানবীর হায়দার।
তার আগেই অবশ্য উদ্বোধনী হ্যাকনের সঙ্গে ২৯ রান যোগ করেন গ্রেগরি। পরে হ্যাকনের সঙ্গে যোগ দেন ডিকম্যান। দুজনের যৌথ অবদান ৯৮ রান। হ্যাকনে ৯ চারে ৯৭ রানে তানবীরের বলে এলবিডব্লিউ হলে ভাঙে এই জুটি।
ডিকম্যান সেখান থেকে ডয়লেকে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন ১০৫ রানের জুটি গড়েন দিন শেষ করেন। শতক পূর্ণ করে ৯ চার ও এক ছয়ে ১০২ রানে অপরাজিত আছেন নিজে, সঙ্গী ডয়লে অপরাজিত ৪৬ রানে।
এইচপি দলের হয়ে এদিন ৯ জন বোলার হাত ঘুরিয়েছেন। তানবীর হায়দার ২টি ও নিহাদুজ্জামান ১টি ছাড়া সাফল্য পাননি অন্যরা। আবু হায়দার রনি, আবু জায়েদ রাহি, এবাদত হোসেন, আবুল হাসান রাজু, জুবায়ের হোসেনরা খালি হাতে ফিরে হতাশই করেছেন।
এর আগে প্রথম দিনে ইরফান শুক্কুরের সেঞ্চুরি ও মেহেদী মারুফের প্রায় সেঞ্চুরিতে তিনশ পেরোয় লিটন দাসের দল। বৃহস্পতিবার এনটি একাদশের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে এইচপি দল ৬ উইকেটে ৩১২ রান তুলে দিন শেষের পর ইনিংস ঘোষণা করে। উদ্বোধনীতে মারুফের ৮৭ এবং মিডলঅর্ডারে শুক্কুরের অপরাজিত ১০৪ রানে এই সংগ্রহ পায় সফরকারীরা।