চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে কোহলির ভারতের দুঃসাধ্য সাধন

ভারতকে প্রথম বিশ্বকাপের স্বাদ দিয়েছিলেন কপিল দেব। প্রথম টি-টুয়েন্টির বিশ্বকাপ জয় মহেন্দ্র সিং ধোনির হাত ধরে। সাদা পোশাকে ভারতকে নতুন করে চিনিয়েছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলি। কিন্তু এই তিনজনের কেউই দুঃসাধ্য সাধন করতে পারেননি যা করেছেন বিরাট কোহলি।

বৃষ্টিতে পঞ্চম দিন ভেসে যাওয়ায় ড্র হয়েছে সিডনি টেস্ট। তারপরও হয়ে গেছে ইতিহাস। চার ম্যাচের বোর্ডার-গাভাস্কার টেস্ট সিরিজ ২-১’এ জিতে নিয়েছে ভারত। ১৯৪৭-৪৮ মৌসুম থেকে সফর শুরুর পর নিজেদের ৭২ বছরের দীর্ঘ টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সিরিজ জয়ের স্বাদ পেল কোহলির ভারত।

সেটিও আবার যেমন-তেমনভাবে নয়। ১৯৮৮ সালের পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে তাদেরই ফলোঅন করিয়ে। সবশেষ মাইক গ্যাটিংয়ের নেতৃত্বে অজিদের দ্বিতীয়বার ব্যাট ধরতে বাধ্য করেছিল ইংল্যান্ড। সেটি এই সিডনিতেই।

ফলোঅনে পড়লেও ইনিংস বাঁচাতে পারাটাই অস্ট্রেলিয়ার কৃতিত্ব। সেটা অবশ্য ব্যাটসম্যানদের কীর্তিতে নয়, প্রকৃতির খেয়ালে। প্রথম ইনিংসে ভারতের ৬২২ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে ৩০০ রানে অলআউট হওয়ার পর চতুর্থদিনে স্বাগতিকদের দ্বিতীয়বার ব্যাট করতে নামান কোহলি। আলোকস্বল্পতার কারণে ৬ রান নিয়ে দিন শেষ করা অজিদের আর ব্যাটই ধরতে হয়নি।

ঐতিহাসিক জয়! তাই মুখের চওড়া হাসি লুকানোর চেষ্টা করেননি কোহলি। অবলীলায় বলে দিলেন এই জয় তার ক্যারিয়ারের সেরা অর্জন। কৃতিত্ব সমানভাবে বিলিয়ে দিলেন সতীর্থ সবার মাঝে, ‘আমি বলতে চাই যে এই দলের অংশ হতে পেরে যতটা গর্বিত সেটা অতীতে কখনো হয়নি। খেলোয়াড়রা তাদের অধিনায়কের মুখ উজ্জ্বল করেছে। এই জয় আমার ক্যারিয়ারের সেরা অর্জন। সমস্ত অর্জনের চূড়ায় থাকবে এটা।’

কোহলি তার ধন্যবাদের বেশিভাগটা বরাদ্দ রাখতে পারেন চেতেশ্বর পূজারার জন্য। ৭ ইনিংসে ৩ শতকে ৫২১ রান করেছেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। সিডনিতে ম্যাচ সেরার পাশাপাশি হয়েছেন সিরিজ সেরাও। এরচেয়ে বড় সত্যিটা হল, তারকায়ভরা ভারতের ব্যাটিং লাইনআপের মানটা বাঁচিয়েছেন তিনিই। অন্য সতীর্থরা যখন ব্যর্থ হয়ে ফিরেছেন তখন একাই লড়াই চালিয়ে গেছেন পূজারা। তাই ঐতিহাসিক জয়ের ভারতের অ্যালেক্সান্ডার তো তিনিই।