লায়ন-ফিঞ্চ-খাজা-স্টয়নিসদের মতো পারফর্মার সতীর্থদের পেছনে ফেলে অস্ট্রেলিয়ার বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতেছেন প্যাট কামিন্স। এ পেসার প্রথমবারের মতো হাতে তুললেন বর্ষসেরার খেতাব ‘অ্যালান বোর্ডার মেডেল’।
ধারাবাহিকতার স্বীকৃতিই পেলেন কামিন্স। মিচেল জনসনের পর প্রথম কোনো পেসার হিসেবে, আর স্টিভেন স্মিথের পর সবচেয়ে কম বয়সে এ পুরস্কার হাতে তুললেন তিনি। পেসার হিসেবে জেতা শেষজন ছিলেন জনসন, হেসেছিলেন ২০১৪ সালে। আর স্মিথ জিতেছিলেন ২০১৫ সালে, ২৫ বছর ২৩৯ দিন বয়সে। কামিন্স জিতলেন ২৫ বছর ২৭৯ দিনে।
মেলবোর্নে ‘অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট অ্যাওয়ার্ডস’ অনুষ্ঠানে যখন কামিন্সের নাম বর্ষসেরা হিসেবে ঘোষণা করা হয়, তখন দেখা যাচ্ছে সর্বোচ্চ ১৫৬ ভোট পেয়েছেন তিনি। দুইয়ে থাকা স্পিনার নাথান লায়নের ভোট ১৫০, ওয়ানডে অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ তিনে ১৪৬ ভোটে। আর উসমান খাজা ও মার্কাস স্টয়নিস পেয়েছেন সমান ১০২ ভোট করে।
ভোটের সময়কাল ছিল ৯ জানুয়ারি ২০১৮ থেকে ৭ জানুয়ারি ২০১৯-এর মধ্যে, সময়টাতে ২৫.৬১ গড়ে ৪৪ উইকেট নিয়েছেন কামিন্স, সঙ্গে আছে ২টি ফিফটি। এমসিজিতে বক্সিং-ডে টেস্টে হিরোয়িক ৬৩ রানের পাশাপাশি ২৭ রানে ৬ উইকেট নিয়ে ম্যাচজয়ী ছিলেন কামিন্স।
ছেলেদের বর্ষসেরা টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটারের পুরস্কার এই প্রথমবারের মতো আলাদা তিনজনের হাতে উঠেছে। বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটার নাথান লায়ন। সময়টাতে ১০ টেস্টে এ অফস্পিনারের দখলে গেছে ৪৯ উইকেট, কামিন্সকে তিন ভোটে (২৫) পেছনে ফেলে তাই সাদা পোশাকের বর্ষসেরা লায়ন।
ওয়ানডের বর্ষসেরা হয়েছেন মার্কাস স্টয়নিস। সময়টাতে ১৩ ওয়ানডেতে এ অলরাউন্ডার ৩৭৬ রান করার পাশাপাশি ১৩ উইকেট নেয়ার পুরস্কার পেলেন। ফিঞ্চকে দুইয়ে ঠেলেছেন ৮ ভোট (৩০) বেশি পেয়ে। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল সেখানে বর্ষসেরা টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটার। সময়টাতে ৩৬.১৪ গড়ে ১৪৩.৭৫ স্ট্রাইকরেটে ৫০৬ রান করার সঙ্গে ৯ উইকেট অর্জনের খাতায় ম্যাক্সওয়েলের।
‘বেলিন্ডা ক্লার্ক অ্যাওয়ার্ড’ ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার মেয়েদের বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার, এবার জিতেছেন অ্যালিসা হিয়েলি। এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার জিতেছেন মেয়েদের বর্ষসেরা ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টির পুরস্কারও।