বিপিএলের ফর্মটা ধরে রাখলেন মুশফিকুর রহিম ও সাব্বির রহমান। এই দুজনকে আবার ছাপিয়ে গেলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তিন ব্যাটসম্যান রান পাওয়ার পরও বড় স্কোর গড়তে পারল না বাংলাদেশ। ফলে নিউজিল্যান্ড সফরের প্রথম ম্যাচটা জেতাও হল না সফরকারীদের। প্রস্তুতিমূলক ওয়ানডে ম্যাচে টাইগারদের বিপক্ষে ২ উইকেটে জিতেছে কিউই একাদশ।
বাংলাদেশের দেয়া ২৪৮ রানের টার্গেট একটা সময় মনে হয়েছিল খুব সহজেই জিতবে নিউজিল্যান্ড একাদশ। তবে টাইগার বোলাদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ঘাম ঝরাতে হয় তাদের।
ওপেনিং জুটিতে ১১৪ রান তোলার পর কিছুটা ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। ১৮৮ রানে প্রতিপক্ষের ৪ উইকেট তুলে নিয়ে আশা জাগায়। শেষ পর্যন্ত আর হয়নি। পরে আরও তিন উইকেট তুলে নিয়েও শেষঅবধি ম্যাচ জিততে পারেননি মুশফিক-মাহমুদউল্লাহরা।
নিউজিল্যান্ড একাদশের হয়ে দুই ওপেনারই হাফসেঞ্চুরি করেন। ৫২ রান করে প্রথমে আউট হন জিত রাভাল। আট রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন আরেক ওপেনার ফ্লেচার। তাকে সেঞ্চুরি বঞ্চিত করেন মোস্তাফিজুর রহমান। এরপর দ্রুত আউট হন সোলিয়া (১১) ও রবীন্দ্র (১৭)।
মাহমুদউল্লাহ ৩০ রান করা অ্যালেনকে ফেরানোর পর ১৯ রান করা ক্লার্ককে ফেরান মিরাজ। পরে ফিলিপসকে (৪) দ্রুত ফিরিয়ে মিরাজ চাপ বাড়ান। তিন রান দূরে থাকতে মোস্তাফিজ স্বাগতিকদের অষ্টম উইকেট তুলে নেন। তাতেও অবশ্য শেষ রক্ষা হয়নি। ১১ বল বাকি থাকে ২৫১ রান তুলে নেয় নিউজিল্যান্ড একাদশ।
বাংলাদেশের হয়ে মোস্তাফিজ, মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহ প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নেন। নাঈম হাসান ও সৌম্য সরকার নেন একটি করে উইকেট।
লিঙ্কন ওভালে টস জিতে বাংলাদেশকে প্রথম ব্যাট করতে পাঠায় স্বাগতিক একাদশ। শুরুটা দুঃস্বপ্নের মতোই হয় সফরকারীদের। ৩১ রানের মধ্যেই চার উইকেট হারিয়ে বসে তারা। দলীয় ১১ রানের মাথায় প্রথমে আউট হন মুমিনুল হক (৬)। এক রানের ব্যবধানে ফেরেন লিটন কুমার দাস (৩)।
যাওয়া-আসার মিছিলে যোগ দেন সৌম্য সরকার (১) ও মোহাম্মদ মিঠুনও (১)। পঞ্চম উইকেট জুটিতে ১০৮ রান তুলে বিপর্যয় সামাল দেন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৬১ বলে আটটি চারের সাহায্যে ৬২ রান করে আউট হন মুশফিক। সদ্য সমাপ্ত বিপিএলে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক নিজের ফর্মটা নিউজিল্যান্ডেও টেনে নিয়েছেন।
মুশফিক ফেরার পর ৭২ রান করে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ। বিপিএলে তেমনটা জ্বলে উঠতে না পারলেও জাতীয় দলের জার্সিতে ভালো কিছুর আভাস দিয়ে রাখলেন তিনি। তার ৮৮ বলের ইনিংসে ছিল ১০টি চারের মার।
মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ ফেরার পর দলকে টানেন সাব্বির রহমান। ৪১ বলে ছয় চারে ৪০ রান করে এই মারকুটে ব্যাটসম্যান। তবে ব্যাট হাতে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি বিপিএলে প্রথমবারের মতো অধিনায়কত্ব করা মেহেদী হাসান মিরাজ। মাত্র ৭ রান করেছেন তিনি।
শেষদিকে নাঈম হাসানের ১৭ ও মোস্তাফিজুর রহমানের ১২ রানে ২৪৭ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। তবে ১৭ বল বাকি থাকতেই অলআউট হয়। প্রায় আড়াইশ’র কাছাকাছি স্কোর গড়লেও দলের ছয়জন ব্যাটসম্যানের দুই অঙ্ক না ছোঁয়া বাংলাদেশের চিন্তা বাড়াবে।
স্বাগতিকদের হয়ে আইজি ম্যাকপেক নেন চার উইকেট। এছাড়া হ্যাজেলডিন ও রবীন্দ্র নেন দুটি করে উইকেট।