পদ্মাসেতুর ২১তম স্প্যান স্থাপন করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে এই স্প্যান বসানোর কাজ শেষ হয়। এরফলে পদ্মাসেতু অর্ধেকের বেশি ৩ হাজার ১’শ ৫০ মিটার দৃশ্যমান হলো।
বছরের প্রথম স্প্যান খুঁটিতে বসানোর মধ্য দিয়ে পদ্মাসেতু আরেক ধাপ এগিয়ে গেলো। ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ মূল সেতুতে আরও ২০টি স্প্যান বসানো বাকি। এই মাসে সেতুতে আরও দু’টি স্প্যান বসানোর কথা রয়েছে।
সেতু বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের বলেন; প্রতি মাসে সেতুর তিনটি করে স্প্যান বসবে। এতে আগামী জুলাই মাসেই সব অর্থাৎ ৪১টি স্প্যান বসানো সম্ভব হবে।
‘‘স্থায়ীভাবে সেতুতে ২১টি স্প্যান বসেছে। তবে অস্থায়ীভাবে আরও একটি অর্থাৎ সেতুতে এখন ২২টি স্প্যান দৃশ্যমান। ‘৫এফ’ নম্বরের স্প্যানটি এখন অস্থায়ীভাবে সেতুর ১২ ও ১৩ নম্বর খুঁটিতে রাখা আছে। এটি সরিয়ে নেয়া হবে ৩০ ও ৩১ নম্বর খুঁটিতে। রেলওয়ে এবং রোডওয়ে স্লাব বসানোর সুবিধার্থে এটি সেখানে যথাস্থানে বসানো হয়নি। তবে শিঘ্রই এটিও ৩০ ও ৩১ নম্বর খুঁটিতে বসানো হবে।’’
তিনি জানান, আবহাওয়ার কারণে কিছুটা বিলম্ব হলেও এরই মধ্যে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে জাজিরা প্রান্তে সেতুর ৩২ ও ৩৩ নম্বর খুঁটির ওপর ‘৬বি’ নম্বর স্প্যানটি পিলারের উপর বসানো হয়।
মঙ্গলবার সকাল ৯টা ২০ মিনিটের দিকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া কুমারভোগ কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে স্প্যানটিকে নিয়ে যায় ‘তিয়ান ই’ ভাসমান ক্রেন। নির্ধারিত পিলারের কাছে পৌঁছায় সকাল ১১টার দিকে। ২০তম স্প্যান বসানোর ১৪ দিনের মাথায় বসেছে ২১তম স্প্যানটি।
দ্বিতল সেতুটি কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। এই সেতুর দু’প্রান্তে আরও প্রায় তিন কিলোমিটার সংযোগ সেতু রয়েছে। তাই সেতুটি দীর্ঘ প্রায় ৯ কিলোমিটার। সেই সংযোগ সেতুর কাজের অগ্রগতিও ভালো।
চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড মূল সেতু নির্মাণের কাজ করছে।