দুইশর বেশি রান তাড়ায় দারুণ লড়ছিলেন বিজয়। ৪৭ বলে ৭৮ রান করে ফেলেন মৃত্যুঞ্জয়ের বলে। পরে আরও সিলেট অধিনায়ক মোসাদ্দেক ও সাবেক ইংলিশ ক্রিকেটার বোপারাকে ফিরিয়ে এক ওভারেই ঘুরিয়ে দেন ম্যাচ।
বিপিএলের অষ্টম আসরে এটিই প্রথম হ্যাটট্রিক। আগের সাত আসরে হ্যাটট্রিকের ঘটনা পাঁচবার। অভিষেকে দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক এটি। ২০১৯ সালে ষষ্ঠ আসরে ঢাকা ডায়নামাইটের জার্সিতে বিপিএলে নেমেই রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন আলিস।
মৃত্যুঞ্জয়ের হ্যাটট্রিকের পর খেলা আর জমাতে পারেনি সিলেট। ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে তোলে ১৮৬ রান। সিলেটের কলিন ইনগ্রাম করেন ৩৭ বলে ৫০ রান। ১৬ রানের জয় দিয়ে চট্টগ্রাম পর্বে ঘুরে দাঁড়াল হোম টিম। ৪ ওভারে ৩৩ রানে তিন উইকেট মৃত্যুঞ্জয়ের। নাসুম আহমেদ ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান খরচায় তুলে নেন দুই উইকেট। ৩ ওভারে ৩১ রানে একটি উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
চলতি আসরের দ্বাদশ ম্যাচে এসে দুইশ রানের দেখা মেলে। উইল জ্যাকস ও বেনি হাওয়েলের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ২০২ রান তোলে চট্টগ্রাম।
বন্দরনগরীতে টস হেরে শুরতে ব্যাটিংয়ে নামা চট্টগ্রামের শুরুটা দারুণ হয় জ্যাকসের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে। ১৮ বলে এবারের আসরের দ্রুততম ফিফটি তুলে নিয়ে জ্যাকস আউট হন তাসকিনের বলে।
পরের ওভারেই কেনার লুইসকে সাঁঝঘরে ফেরান সোহাগ গাজী। এরপর সাব্বিরকে নিয়ে ৪৭ রানের জুটি গড়েন আফিফ হোসেন। ব্যক্তিগত ৩১ রানে মোসাদ্দেকের বলে আউট হন সাব্বির।
৩৮ রানে থাকা আফিফ আউট হন বোপারার বলে বোল্ড হয়ে। ইনিংসের শেষদিকে তান্ডব চালান বেনি হাওয়েল। ৪১ রানে অপরাজিত থেকে দলকে ২০০ রানের গণ্ডি পেরুতে বড় ভূমিকা রাখেন। ৪ বলে ১৩ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন মিরাজ।