প্রায় দুই সপ্তাহ আগে দলবদল সম্পন্ন হলেও কাগজপত্রের জটিলতায় এখনও মাঠে নামা হয়নি নেইমারের। তবে জটিলতা মিটে গেছে। পিএসজির দলে নামও উঠেছে ব্রাজিল তারকার। দলের কোচও তেমনটাই আভাস দিয়েছেন। রোববার রাতে পিএসজির দ্বিতীয় ম্যাচে গুইনগ্যাম্পের বিপক্ষে নেইমারের অভিষেকটা হয়ে যাওয়া তাই সময়ের ব্যাপার।
পিএসজির কোচ উনাই এমেরি আভাস দিয়েছেন, পুরো ৯০ মিনিট খেলার জন্যও শারীরিকভাবে তৈরি নেইমার, ‘সে বেশ মানিয়ে নিয়েছে, আমাদের কৌশল আর ফ্রি কিকগুলোও বুঝে নিয়েছে। আমরা সবাই তাকে একাদশে চাই। তার মতো খেলোয়াড়কে দলে দরকার।’
কিন্তু নানা জটিলতার মধ্যদিয়ে বার্সা অধ্যায়ের শেষ হতে না হতেই আরেকটি অচেনা অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে নেইমারকে। ঘরের মাঠ ব্রাজিলের মারাকানা কিংবা সদ্য ছেড়ে আসা বার্সেলোনার ন্যু ক্যাম্পে দর্শক হয় লাখের কাছাকাছি। প্রতিটি ম্যাচেই একই দৃশ্য। কিন্তু লিগ ওয়ানে ব্রাজিল তারকাকে দেখতে হবে ভিন্ন চিত্রই।
নেইমারের অভিষেক হচ্ছে এমন এক শহরে, যার অধিবাসীই মাত্র ৭ হাজার। যদিও স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা ১৭ হাজার। প্রতিপক্ষ ক্লাবটির বাজেটই আবার নেইমারের দামের আট ভাগের এক ভাগ! আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো নেইমারের এই হতে যাওয়া অভিজ্ঞতাকে তুলনা করছে ‘কালচারাল শক’ হিসেবে।
নেইমারের অভিষেকটা এমন শহরে হওয়া নিয়ে কথা বলেছেন গুইনগ্যাম্পের সভাপতি বারট্রান্ড দেসপ্লাত। বলেছেন, ‘যদি সম্ভব হতো, আমরা ৪০ হাজারের আসনও ভরিয়ে ফেলতাম অনায়াসে।’
দর্শক সমাগম করতে চাইলেও ম্যাচের ফলে নেইমারকে হতাশ করতে চায় গুইনগ্যাম্প। দলের কোচ আতোয়াঁ কমবোয়া বলেছেন, ‘আমি চাই রোববার সমর্থকেরা নেইমার খেলছে এমন একটা দলের বিপক্ষে আমাদের জয় দেখতে আসুক।’
তবে জনসংখ্যা বা মাঠের ধারণ ক্ষমতা যাই হোক, গুইনগ্যাম্পের কিন্তু ফুটবল ঐতিহ্যর কমিত নেই। ২০০৯ ও ২০১৪ সালের ফ্রেঞ্চ কাপ জয়ী দল তারা। গত বছর লিগ ম্যাচে পিএসজিতে ২-১ গোলে হারায় গুইনগ্যাম্পকে। ২০১৩ সালে ক্লাবটি হোম গ্রাউন্ড পাওয়ার পর চারবারের মুখোমুখিতে দুইবারই পিএসজিকে হারিয়েছে। এই ক্লাবে খেলে গেছেন সাবেক আইভরি কোস্ট ও চেলসি তারকা দিদিয়ের দ্রোগবাও।
ম্যাচে অভিষেক হলে ১০ নম্বর জার্সির পর নেইমারের জন্য বাঁ-প্রান্তের জায়গাটাও ছেড়ে দিতে হচ্ছে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড হাভিয়ের পাস্তোরেকে।
নেইমারের অভিষেকের রাতে ১২’শ কিলোমিটার দূরে মাঠে নামছে তার সদ্য সাবেক দল বার্সেলোনাও। স্প্যানিশ সুপার কাপের প্রথম লেগে নেইমারের ম্যাচ শুরুর একঘণ্টা পর ন্যু ক্যাম্পে রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হবেন মেসি-সুয়ারেজরা।