“যখন আমাদের বয়স ১২ মাস, তখন থেকে বাবা মা দুজনে মঞ্চে অভিনয় করতেন। তখন আমাদের থিয়েটারের ট্রাঙ্কে শুইয়ে রেখে স্টেজে উঠতেন। সেক্ষেত্রে আমাদের রক্তে অভিনয়টা মিশে আছে। এটা বোধহয় বলার অপেক্ষা রাখে না।”
১৭ মার্চ ‘মুজিব’ চলচ্চিত্রের পোস্টার উন্মোচন অনুষ্ঠানে আবেগঘন কণ্ঠে চ্যানেল আই অনলাইনের সঙ্গে আলাপে এ কথাগুলো বলেন তারকা দম্পতি শাহনাজ খুশী ও বৃন্দাবন দাসের যমজ দুই ছেলের একজন দিব্য জ্যোতি।
যিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বহুল প্রতীক্ষিত বায়োপিক ‘মুজিব’-এ ‘কিশোর বেলার’ বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করছেন। এর আগে এই তরুণ টুকটাক নাটকে অভিনয় করলেও এবারই প্রথম এতবড় প্রেক্ষাপটের ছবিতে অভিনয় করলেন।
দিব্য জ্যোতি বলেন, ছোটবেলা থেকে বাবা মা আমাদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বড় করার চেষ্টা করেন। অভিনেতা হিসেবে নয়, মানুষ হিসেবে সবসময় বঙ্গবন্ধুর আদর্শ শেখাতেন। তাই বায়োপিকে কাজের আগে থেকে পারিবারিকভাবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের শিক্ষা ছিল। পারিবারিক পৃষ্ঠপোষকতা থাকায় সেই শিক্ষাটা বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকে কাজ করতে গিয়ে সাহায্য করেছে।
বিখ্যাত পরিচালক শ্যাম বেনেগালের পরিচালনায় ২২ দিন মুম্বাইতে ‘মুজিব’-এর শুটিং করেন দিব্য জ্যোতি। তিনি বলেন, শুটিংয়ে সবাই আমাকে মুজিব বলে ডাকতেন। ২২ দিন ‘মুজিব’ নাম ধরে ডাক শুনেছি এটা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।
কয়েক দফায় অডিশন নিয়ে ‘মুজিব’ ছবিতে যুক্ত হন দিব্য জ্যোতি। তিনি বলেন, প্রথমবার অডিশন দেয়ার পর কোভিড আসে। তৃতীয়বার শ্যাম বেনেগাল স্যার জুম ভিডিওর মাধ্যমে অডিশন নেন। তখন চূড়ান্ত হয়েছিলাম। পরিচালক স্যার আমাকে বলেছিলেন, বঙ্গবন্ধুর যে বয়সের চরিত্র আমি করছি তখনকার ভিজ্যুয়াল তেমন কিছুই নেই। বঙ্গবন্ধুর কিশোরকাল বলতে মানুষ তোমার মাধ্যমে জানতে পারবে। এটা আমার কাছে যেমন আশীবার্দ ছিল তেমন ছিল দায়িত্ববোধ আর সাথে চ্যালেঞ্জ ছিল।
দিব্য জ্যোতি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও তার বোনের (শেখ রেহানা) কাছ থেকে যা যা শুনেছি সেই ইমাজিশন থেকে চেষ্টা করেছি। বঙ্গবন্ধুর ছোটবেলার ফুটবল খেলার একটা ছবি অনলাইনে মাঝেমধ্যে দেখা যায়। হ্যাঁ, এই ছবির জন্য আমাকে ফুটবলও খেলতে হয়েছে। আমি স্কুল লাইফে শাহীন স্কুলে ফুটবল টিমের ক্যাপ্টেন ছিলাম। ফুটবল খেলার অভ্যাস থাকায় ছবিতে আমার জন্য প্লাস হয়েছে।