ছোট পর্দার তুমুল জনপ্রিয় অভিনেতা সালেহ আহমেদ মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বুধবার দুপুর ২টা ৩৩ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
খবরটি চ্যানেল আই অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন সালেহ আহমেদের স্ত্রী মুসলিমা আহমেদ।
তার স্ত্রী জানান, চিকিৎসকরা আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন।
সপ্তাহ খানেক আগে গুরুতর অসুস্থ হয়ে অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন অভিনেতা সালেহ আহমেদ। দিন দিন অবস্থা খারাপের দিকে গেলে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয় তাকে। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না তার।
সালেহ আহমেদের মৃত্যু সংবাদটি চ্যানেল আই অনলাইনকে নিশ্চিত করে তার ভাই আহসানুল হক মিনু বলেন, আজ দুপুর ২টা ৩৩ মিনিটে অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন সালেহ আহমেদ। পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি বলেও জানান তিনি।
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে সালেহ আহমেদের জন্ম। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরে চাকরির পাশাপাশি ময়মনসিংহে অমরাবতী নাটমঞ্চের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এই অভিনেতা। স্বাধীনতার আগে বিটিভিতে তিনি নিয়মিত অভিনয় করতেন।
১৯৯১ সালে অবসরে যাওয়ার পর হুমায়ূন আহমেদের নাটকে ও চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। ধারাবাহিক ‘অয়োময়’ নাটক এবং ‘আগুনের পরশমণি’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিনয় জগতে তার দাপুটে পদচারণা শুরু হয়। এরপর অসংখ্য টিভি নাটক এবং চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিনি।
গুণী এই অভিনেতা দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা রোগে আক্রান্ত ছিলেন। গত তিন বছর বিছানায় শুয়েই কাটছিলো তার জীবন। সালেহ আহমেদের চিকিৎসায় ব্যয় হয়েছে মোটা অংকের টাকা। ২০১১ সালে স্ট্রোকের পর থেকে তার চিকিৎসার খরচ বহন করতে হিমশিম খেতে শুরু করে তার পরিবার। তারপর এগিয়ে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তার চিকিৎসার জন্য চলতি বছরের শুরুতে ২৫ লাখ টাকা দেন সঞ্চয়ী পত্র হিসেবে। যেখান থেকে চিকিৎসা বাবদ ২৫ হাজার টাকা খরচ করতেন সালেহ আহমেদ।