চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ড: পাঁচ দিনের রিমান্ডে আরাফাত

মুক্তমনা লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলার আসামি ও নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের (আনসারুল্লাহ বাংলা টিম) অপারেশন শাখার সদস্য আরাফাত রহমানের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শনিবার আরাফাতকে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।

এ সময় সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম একেএম মঈদ উদ্দিন সিদ্দিকী পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে শুক্রবার রাতে ঢাকার সাভার থানাধীন আমিন বাজারের বরদেশী এলাকা থেকে ঢাকা জেলা ডিবি পুলিশের (উত্তর) সহায়তায় তাকে গ্রেফতার করে ডিএমপি’র কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। গ্রেফতারকৃতের নাম মো. আরাফাত রহমান। তার সাংগঠনিক নাম সিয়াম ওরফে সাজ্জাদ (২৪)।

ঢাকা মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স) সুমন কান্তি চৌধুরী চ্যানেল আই অনলাইনকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, অভিজিৎ রায় ও তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাকে হত্যার উদ্দেশ্যে  আরাফাত ও তার তিনজন সহযোগি চাপাতি দিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরাফাত পুলিশকে জানিয়েছেন, তাদের সংগঠনের বড় ভাইয়ের (জিয়া) নির্দেশে এবং পরিচালনায় এ হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন। আর ওই অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন জঙ্গি মুকুল রানা ওরফে শরীফ, যিনি রাজধানীর খিলগাঁওয়ে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে।

তিনি জুলহাস-তনয়, নিলয় ও দীপন হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেছিলেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন। অভিজিৎ হত্যা মামলায় গত ৫ নভেম্বর সোহেল ওরফে সাকিব নামে নিষিদ্ধ ঘোষিত আনসার আল ইসলামের এক সদস্যকে গ্রেফতার করে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।

জিজ্ঞাসাবাদে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরে গত ১৮ নভেম্বর তুরাগের বাউনিয়া থেকে মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বইমেলা থেকে বের হওয়ার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় ব্লগার অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ওই ঘটনায় গুরুতর আহত হন তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ। অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডের পরে শাহবাগ থানায় তার বাবা অধ্যাপক ড. অজয় রায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এ পর্য়ন্ত অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১১ জন গ্রেফতার হয়েছে। এদের মধ্যে ডিএমপি’র কাউন্টার টেররিজম কর্তৃক গ্রেফতারকৃত দু’জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।