ডক্টর অভিজিৎ রায় হত্যার এক বছরেও সরাসরি হত্যাকারীদের একজনকেও আটক করতে পারেনি ডিবি। উগ্রবাদী ব্লগার ফারাবীসহ সন্দেহভাজন ৮ জনকে গ্রেফতার করা হলেও তাদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ আটকে আছে মার্কিন ল্যাবের ডিএনএ রিপোর্টে।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, এফবিআই জানিয়েছে পরিক্ষাগুলো
শেষ হয়েছে, আর রির্পোট দেওয়ার প্রকৃয়া চলছে। পাশাপাশি যারা গ্রেফতার হয়েছে
তাদেরও কারো কারো ডিএনএর আলামত সেটিও পরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে ঐ
রির্পোটটা হাতে এলে পরবর্তি অগ্রগতি জানাতে পারবো।
মার্কিন ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো আলামতের রিপোর্টে কী পাওয়া গেছে তা এখনও অজানা তদন্তকারী গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের কাছে। তবে তারা আশা করছেন, ওই আলামতগুলোতে পাওয়া ডিএন নমুনা হত্যাকারী সনাক্ত করতে বিশেষ সহায়তা করতে পারে। মনিরুল ইসলাম আরো বলেন, ৬-৭ জনকে আমরা চিহ্নিত করেছি যারা ঐ সময় ঘটনাস্থলে না থাকলেও বই মেলা বাংলা একাডেমিসহ এই সব এলাকার আশে পাশে থেকে এই কাজে সহযোগিতা করেছে। তাদের সমপৃক্ততার ডকুমেন্ট আমাদের কাছে আছে।
অবশ্য ফারাবীসহ আটক দু’জন ওই হত্যাকাণ্ডে নিজেদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার না করলেও হত্যাকাণ্ড তাদের সমর্থন রয়েছে বলে জানিয়েছে। মনিরুল ইসলাম বলেন, আমরা যাদের সনাক্ত করেছি তারা
সকলে আনসারউল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য। ঘটনার সময় কো-অডিনেটর হিসেবে
ঘটনাস্থলে যাদের উপস্থিতি দেখা গেছে তাদেরকেও আমরা সনাক্ত করেছি।
আনসার উল্লাহ বাংলা টিমের আধ্যাত্মিক নেতা মুফতি জসিম উদ্দিন রাহমানি এর সঙ্গে জড়িত কি না, তা জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।
অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে এসে মেলা থেকে বাসায় ফেরার পথে কুপিয়ে
হত্যা করা হয় মার্কিন নাগরিক বাংলাদেশী লেখক ব্লগার প্রকৌশলী অভিজিৎ
রায়কে।
টিএসসি এলাকার মিলন চত্বরের উল্টো দিকের ফুটপাথে যেখানে তাকে
কোপানো হয় সেখানকার প্রত্যক্ষদর্শী এবং পুলিশের বিশ্বস্ত গুপ্তচরদের তথ্য
মিলিয়ে হত্যাকারীদের সম্পর্কে ধারণা পান গোয়েন্দারা। তবে শনাক্ত করা যায়নি
তাদের। তারা উচ্চ শিক্ষিত বলে জানতে পেরেছে ডিবি।