বিজ্ঞান লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বহিস্কৃত মেজর জিয়াসহ আরো ৫ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী সংস্থা কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) প্রধান মনিরুল ইসলাম। গত তিন বছরে মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত অনানুষ্ঠানিক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মনিরুল ইসলাম বলেন, অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের তিন বছর হচ্ছে ২৬ ফেব্রুয়ারি। শুরু থেকে মামলাটি ডিবি তদন্ত করছিল। সে সময় র্যাব ও ডিবি মিলে এ ঘটনায় সাতজনকে গ্রেফতার করে এবং মুকুল রানা নামে একজন ডিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। প্রায় তিনমাস আগে মামলার তদন্তভার পায় সিটিটিসি।
এর পর মোজাম্মেল হোসেন সায়মন, আরাফাত ওরফে শামস ওরফে সাজ্জাদ ও আবু সিদ্দিক ওরফে সোহেল নামে তিনজনকে গ্রেফতার করে সিটিটিসি। যারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাদের জবানবন্দি অনুযায়ী এবং এ পর্যন্ত তদন্তে গ্রেফতার বাকি সাতজনের এখনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।
সিটিটিসির হাতে গ্রেফতার তিনজনই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তদন্তে মেজর জিয়াসহ আরো ৫ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।
এদের মধ্যে ২-১ জনকে গ্রেফতার করা গেলে তদন্তকাজ শেষ হবে এবং আদালতে চার্জশিট দিতে পারব।
সিটিটিসি প্রধান আরো বলেন, তিনজনকে গ্রেফতারের মাধ্যমে আমরা এ মামলার তদন্তকাজ শেষ করে এনেছি। এখন পর্যন্ত মামলার বিচারকাজ চালিয়ে নেওয়ার মতো যথেষ্ট তথ্যপ্রমান পেয়েছি। সনাক্ত হওয়া বাকি ৫ জনের মধ্যে কাউকে গ্রেফতার করা না গেলেও বেশিদিন আর মামলাটি ধরে রাখব না, শীঘ্রই চার্জশিট দিয়ে দিব।