টানা ৫ সপ্তাহ বন্ধ থেকে খোলার পর দ্বিতীয় দিনের মতো গ্রিসের শেয়ারবাজারে দরপতন অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে ব্যাংক শেয়ারের পতন দ্বিতীয় দিনেও উল্লেখযোগ্য। তবে অর্থনৈতিক নয় এমন প্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থা সে তুলনায় ভালো।
ঋণ সঙ্কটের কবলে পড়ে টানা ৫ সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর সোমবার আবার চালু হয় গ্রিক শেয়ারবাজার। প্রথম দিনেই বড় রকম দরপতন হতে পারে, লেনদেন শুরুর আগেই এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন গ্রিক অর্থনীতিবিদরা। তাদের আশঙ্কারই বাস্তবায়ন দেখা গেলো দিন শুরুর পর।
স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় শেয়ারবাজার খোলার কিছুক্ষণের মধ্যেই গ্রিক শেয়ারবাজারের প্রধান সূচক এথেন্স স্টক ইনডেক্স বা ‘এথেক্স’ ৬১৫.১৬ পয়েন্টে চলে আসে, যা শেয়ারবাজার বন্ধ হওয়ার আগের শেষ কার্যদিবস, অর্থাৎ গত ২৬ জুনের চেয়ে ১৮২.৩৬ পয়েন্ট কম। সবচেয়ে বেশি দরপতন হয় দেশটির প্রধান ৪ ঋণদাতা ব্যাংকের, অর্থাৎ পিরিয়াস ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, আলফা ব্যাংক এবং ইউরো ব্যাংকের শেয়ারের। প্রধান সূচক এথেক্সের এক-পঞ্চমাংশই ব্যাংকের দখলে। সেখানে ব্যাংকের অবস্থাই সবচেয়ে শোচনীয়।
প্রথম দিনের দরপতনের ধারাই দ্বিতীয় দিনেও ধরে রেখেছে ব্যাংক শেয়ারগুলো, যার প্রভাব পড়েছে সার্বিক সূচকে। সোমবার এথেক্স ১.২ শতাংশ হ্রাসের মধ্য দিয়ে দিন শেষ হয়। গেমিং গ্রুপসহ পর্যটন বিষয়ক কিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের উর্ধ্বমুখী প্রবণতায় শেয়ারবাজার কিছুটা আলোর মুখ দেখতে পায় দিনশেষে।
সরকার এবং অর্থনীতিবিদরা আশা করছেন শীঘ্রই স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারবে গ্রিক পুঁজিবাজার। অবশ্য দেশীয় বিনিয়োগকারীদের এখনও নিজস্ব ব্যাংক অ্যাকাউন্টের অর্থ শেয়ারে বিনিয়োগ করার অনুমতি দেয়া হয় নি।