দ্বিতীয়বার নরেন্দ্র মোদির ক্ষমতায় আসার পেছনে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ’র অবদান সর্বজন স্বীকৃত। তাকে যে মূল্যায়ন করা হবে সে কথা আগে থেকেই ছিল অনেকের মুখে। সব ধারণার সফল পরিণতি ঘটলো মোদির মন্ত্রিসভায় অমিত শাহ’র যোগদানের মধ্য দিয়ে।
এনডিটিভি জানায়, এবার ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেইও মন্ত্রী হিসেবে অমিত শাহ’র নাম শোনা যাচ্ছিল। হয়েছেও তাই। এই প্রথম লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। লালকৃষ্ণ আদবানির বদলে গুজরাটের গান্ধী নগর আসন থেকে প্রার্থী করে বিজেপি।
গত দুই দিনে অমিত শাহ ও নরেন্দ্র মোদির মধ্যে দুটি দীর্ঘস্থায়ী বৈঠক করেন। এর একটি ছিল পাঁচ ঘণ্টার, আরেকটি তিন ঘণ্টার। এসব বৈঠক ছিল মূলত মন্ত্রিসভা নিয়ে সিদ্ধান্ত, রাজ্য ও দলের বিভিন্ন অংশের মধ্যে সমন্বয়, দলের সফল নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করা, জোটের দাবি পূরণ এবং নতুন রাজ্য যেগুলো থেকে তারা ভোট পেয়েছেন সেগুলো নিয়ে চিন্তা-ভাবনা।
তবে আগামী বছর কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন থাকায় বিজেপির অনেকেই চেয়েছিলেন দলের সভাপতি পদেই থেকে যান অমিত শাহ। তবে শেষমেশ দেখা গেল মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন অমিত।
দলের একটা অংশ মনে চেয়েছিল মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড, হরিয়ানার মতো রাজ্যে ভোট থাকায় সভাপতি হিসেবেই দলকে নেতৃত্ব দেবেন তিনি। এর পাশাপাশি আগামী বছর বিহার থেকে শুরু করে আরও কয়েকটি রাজ্যে ভোট হবে।