লোকসভার পর এবার ভারতের রাজ্যসভাতেও পাস হলো তাৎক্ষণিক তিন তালাক প্রতিরোধ বিল। এখন রাষ্ট্রপতি বিলটিতে স্বাক্ষর করলেই তিন তালাক ফৌজদারি অপরাধ বলে গণ্য হবে। পাশাপাশি এর জন্য শাস্তি হবে তিন বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানা।
মঙ্গলবার রাজ্যসভায় বিলটি পাস হয় বলে এনডিটিভি জানিয়েছে। বিলটি পাস হওয়াকে মোদি সরকারের বড় সফলতা বলে দাবি করা হচ্ছে।
এদিন রাজ্যসভায় বিলটি উঠলে সেটি পুনর্বিবেচনার জন্য সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর দাবি ওঠে। তা নিয়ে ভোটাভুটি শুরু হলে বিলটি পুনর্বিবেচনার পক্ষে ভোট দেন ৮৪ জন সাংসদ। তবে সেটির বিপক্ষে মত দেন ৯৯ জন সাংসদ। ফলে বিলটি পাস হতে সমস্যা হয়নি।
রাজ্যসভায় পাশ হওয়ার পর তিন তালাক বিলটি এখন পাঠানো হবে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে। তিনি স্বাক্ষর করলেই সেটি আইনে পরিণত হবে। তারপর তাৎক্ষণিক তিন তালাক প্রথা ফৌজদারি অপরাধ বলে গণ্য হবে। সেক্ষেত্রে স্ত্রীকে তিন তালাক দিলে তিন বছরের কারাদণ্ড হবে মুসলিম পুরুষদের।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার লোকসভায় পাস হয় বিলটি। সেদনি আইনমন্ত্রী রবি শংকর প্রসাদ লোকসভায় বিলটি উত্থাপন করলে তার পক্ষে ৩০২ এবং বিপক্ষে ৭৮ ভোট পড়ে। এর ফলে বিলটি পাস হয়ে যায়।
তবে এই বিল বিশেষ একটি সম্প্রদায়ের মধ্যে অনাস্থা সৃষ্টি করবে এমন অভিযোগ জানিয়ে ওয়াকআউট করেন জনতা দলের নিতেশ কুমার, এরপরে ওয়াকআউট করে কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস।
বিল পাস হওয়ার পর ভারতের আইনমন্ত্রী রবি শংকর প্রসাদ বলেন, নারীর মর্যাদা ও সম্মান রক্ষার্থে এই বিল জরুরি।
দীর্ঘদিন ধরেই তিন তালাক বিল নিয়ে উত্তাল ছিল ভারতের জাতীয় রাজনীতি। বিলটির পক্ষে বিপক্ষে অবস্থান নেয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও কিছু কট্টরপন্থী সংগঠন।
ভারতে মুসলিম নারী আইনে তাৎক্ষণিক তিন তালাক দেয়ার বিধান ছিল। সম্প্রতি দেশটির সুপ্রিম কোর্ট এভাবে বিচ্ছেদকে অবৈধ ঘোষণা করে।