চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

‘অপারেশন ঈগল হান্ট’ সমাপ্ত: নিহত ৪, নারী-শিশু জীবিত উদ্ধার

আশরাফুল ইসলাম রনজু, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি:  চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের জঙ্গি আস্তানায় ‘অপারেশন ঈগল হান্ট’ শেষ হয়েছে। অভিযানে জঙ্গি রফিকুল ইসলাম আবুসহ মোট ৪ জন নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় এই অভিযান শেষ হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি খুরশীদ আলম।

‘অপারেশন ঈগল হান্ট’ অভিযান চলাকালে বৃহষ্পতিবার বিকেল ৫টায় আবুর স্ত্রী সুমাইয়া ও ৫টা ২৩ মিনিটে শিশুকন্যা সাদিকা কে উদ্ধার করে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের দলের সদস্যরা। অপারেশন ঈগল হান্ট শেষ হলেও জঙ্গী আস্তানা এলাকায় বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল কাজ করছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মোবারকপুর-চককীর্ত্তি ইউনিয়নের ত্রিমোহনী-শিবনগর গ্রামে ঘিরে রাখা সন্দেহভাজন জঙ্গি আস্তানায় ‘অপারেশন ঈগল হান্ট’ দ্বিতীয় দিন বৃহষ্পতিবার সকাল সাড়ে ৯ টায় শুরু হয়।

অভিযান চলাকালে জঙ্গি আবুর স্ত্রী সুমাইয়া (২৭) ও দুই বছরের শিশুকন্যা সাদিকাকে জীবিত উদ্ধার করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। চিকিৎসা শেষে তারা দুইজনই আশঙ্কা মুক্ত রয়েছে বলে জানিয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিভিল সার্জন কাজী শামিম আহম্মেদ। এখন বাসার ভিতর থেকে বোমা নিস্ক্রিয়কারী দল কাজ করছে।

এর আগে সকাল থেকে মাইকে কয়েক দফা বলার পরও আত্মসমর্পণ না করায় বেলা সোয়া ৪টার দিকে ভেতরে থাকা দুই শিশুকে বের করে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। তাছাড়া সকালে শেষবারের মতো তাদের আত্মসমর্পণ করতে বলার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে একটি বোমা ‘নিষ্ক্রিয়’ করা হয় সন্দেহভাজন ওই জঙ্গি আস্তানায়।

বুধবার সকালে শিবগঞ্জ উপজেলার শিবনগর-ত্রিমোহনী গ্রামে আমবাগান ঘেরা ওই বাড়িটি পুলিশ ঘেরাও করার পর সন্ধ্যায় অভিযান চালায় সোয়াট। কিন্তু দুই ঘণ্টা পরই স্থগিত করে।

রাতের বিরতির পর সকাল ৯টার দিকে ফের অভিযান শুরুর পর সোয়া ১২টায় আত্মসমর্পণের শেষ আহ্বান জানানো হয়। এর আগে অভিযান শুরুর সময় থেকে এক-আধ ঘণ্টা পরপর শোনা যায় মুহুর্মুহু গুলির শব্দ। ১০টা ৬ মিনিটে একবার বিকট বিস্ফোরণ ঘটে।

অপারেশন ঈগল হান্ট’ নামে পরিচালিত এই অভিযান শুরুর আগেই সকাল ৮টার দিক থেকে ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয় অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিস। নিরাপত্তার কারণে পুলিশ ওই বাড়ির আশপাশে অবস্থান করছে, কাউকে ঘটনাস্থলে যেতে দিচ্ছে না। অভিযানে সোয়াট, পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজমের একটি দলসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনীর সদস্যরা অংশ নিয়েছিলেন।