ফেব্রুয়ারির শেষদিকে নাইজেরিয়ার দাপচি শহর থেকে অপহৃত শতাধিক স্কুলছাত্রীর অধিকাংশই এক মাসের ব্যবধানে ফিরে এসেছে। এলাকাবাসীর বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
এলাকাবাসী জানায়, ইয়োবে প্রদেশের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত দাপচির গভর্নমেন্ট গার্লস সায়েন্স অ্যান্ড টেকনিক্যাল কলেজ থেকে অপহৃত ১১০ ছাত্রীর বেশিরভাগকেই বুধবার স্থানীয় সময় সকালে একটি গাড়িবহরে করে শহরে নামিয়ে দিয়ে যাওয়া হয়। তারা ছিল প্রচণ্ড ক্লান্ত ও বিধ্বস্ত। যদিও কেউ কেউ গাড়ি থেকে নামার সাথে সাথে দৌড়ে বাড়ি ফেরার মতো শক্তি রাখতে পেরেছে।
জঙ্গিরা মেয়েদের নামানো শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই চলে যায়। অপহৃতদের মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। তবে মেয়েদের ফিরিয়ে দেয়ার পেছনে কী কারণ থাকতে পারে তা এখনো পরিষ্কার নয়।
স্কুলছাত্রীদের ফিরে আসার খবর ইয়োবে প্রদেশের পুলিশ প্রধান আবদুল মালিকি সুনমোনু নিশ্চিত না করলেও বিষয়টি শোনার কথা জানান তিনি। তবে দাপচির কাছে অবস্থিত চেকপয়েন্টের এক সেনা কর্মকর্তা জানান, বোকো হারাম মেয়েদের ফিরিয়ে দিয়ে গেছে।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি জঙ্গি সংগঠন বোকো হারাম দাপচির ওই স্কুলে আচমকা হামলা চালায়। তারপর থেকেই ওই স্কুলের ১১০ জন ছাত্রীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। আশঙ্কা করা হচ্ছিল, বোকো হারামের সদস্যরা তাদের ধরে নিয়ে গেছে।
ওই অতর্কিতে হামলায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাই ভয় পেয়ে এদিক-ওদিক ছুটে পালাতে শুরু করে। হামলা শুরুর বেশ কিছু সময় নাইজেরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী ও সামরিক বিমান ঘটনাস্থলে এসে হামলা প্রতিহত করতে শুরু করে।
সরকার প্রাথমিকভাবে অপহরণের বিষয়টি অস্বীকার করে দাবি করে, মেয়েগুলো হয়তো হামলাকারীদের কাছ থেকে বাঁচার জন্য লুকিয়ে রয়েছে। কিন্তু পরে ১১০ জন স্কুলছাত্রীর নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে নেয়।