অপহরণের ৭ দিন পর ঢাকার ব্যবসায়ী তোষাররফ হোসেন পপি’র মৃতদেহ উদ্ধার করেছে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ।
হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে এক কনস্টেবলসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর সঙ্গে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে নিহতের স্বজনরা।
কাজের মেয়ে পাইয়ে দেবার কথা বলে ১১ জানুয়ারি সকালে ঢাকার এনায়েতগঞ্জ লেন হাজারীবাগের ব্যবসায়ী তোষাররফ হোসেন পপি’কে বদরগঞ্জের সাকুয়াপাড়ায় বোনের বাড়িতে ডেকে আনেন রংপুর পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে থাকা কনস্টেবল রবিউল ইসলাম।
পুলিশ জানায়, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের জেরে, পপিকে ১০টি চেতনা নাশক ট্যাবলেট খাইয়ে, শ্বাসরোধসহ কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
রোববার সকালে রংপুর বদরগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর সাকুয়াপাড়ার একটি আখ খেতের পাশে মাটি চাপা দেয়া অবস্থায় পপি’র লাশ উদ্ধার করা হয়।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কাজী মুত্তাকি ইবনু মিনান বলেন, ১৪ জানুয়ারি মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় পপি’র ছোট বোন সাজিয়া আফরিন ডলি মামলা করলে পুলিশ শুক্রবার রবিউল, রবিউলের দুলাভাই সাইফুল ও বাসার কাজের ছেলে বিপুলকে গ্রেপ্তার করে।
৩ সন্তানের জনক পপি অকালে চলে যাওয়ায় বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে তার স্ত্রীসহ স্বজনেরা। হত্যকাণ্ডের সাথে আরও কেউ জড়িত আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।